করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় (Malda) গঙ্গা (Ganga)-ভাঙন নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত। এবার বিজেপি (BJP) সাংসদ ও নেতাদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি। বেঁধে দিলেন সময়সীমাও। ভাঙন-ইস্যুতে ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। ভাঙন আটকাতে তৃণমূল কী করেছে, তার জবাব দিক, পাল্টা আক্রমণ বিজেপি সাংসদের।
ঠিক কী ঘটেছে?
অজিত মাইতির পর আব্দুল রহিম বক্সী। ফের তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি নেতারা। মালদায় গঙ্গা ভাঙন মোকাবিলায় ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি সাংসদ, নেতাদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। বেঁধে দিলেন সময়সীমাও।
গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে আগামী কাল ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের অফিস ঘেরাও করতে চলেছে মালদা জেলা তৃণমূল। গতকাল তার প্রস্তুতি সভা থেকে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে নিশানা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি ও মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সী। তৃণমূলই রাজনীতি করছে। শাসকদলের বিধায়করা গঙ্গা ভাঙন রোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।
অন্যদিকে, গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত রতুয়ার মহানন্দা টোলার গাঙ্গ ভাঙ্গনে গৃহহীন মানুষকে নিয়ে জেলা শাসকের দপ্তরে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। জেলাশাসকের দপ্তরের ঢুকতে বাধা পুলিশের। পুলিশের সাথে বাদবনুবাদে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ।
এদিকে, মালদার মানিকচকে বিধ্বংসী গঙ্গা। গোপালপুর অঞ্চলে ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। উত্তর হুকুমতটোলায় গতকাল বিকেল থেকে পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। চোখের পলকে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে গাছপালা, বাঁশ ঝাড়। তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে ইংরেজবাজারের ভবানীপুর গ্রামে। নদী বাঁধের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে গেলে উত্তর হুকুমতটোলা, দক্ষিণ হুকুমতটোলা, কামালতিপুর-সহ একাধিক গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। ভাঙন আটকাতে প্রশাসনের তৎপরতা এখনও চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন, দালাল-চক্রের পর্দাফাঁস এনআরএসে, লালবাজার গুন্ডাদমন শাখার হাতে ধৃত ২