করুণাময় সিংহ, মালদা: রাজনীতির মাঠে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা। কিন্তু পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘিরে অসন্তোষ কোথাও না কোথাও একবিন্দুতে মিলিয়ে দিল তৃণমূল এবং বিজেপি-কে। কারণ পুরভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে দুই দলেই অশান্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই নিয়ে পরস্পরকে কটাক্ষ করলেও, দুই দল থেকেই দলে দলে নেতাদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে।


আসন্ন পুরভোটের আগে, মালদায় (Malda News) দলের বিদ্রোহী এই বিদ্রোহী নেতারাই অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিজেপি-র (BJP)। ২০ আসলনের পুরাতন মালদা পুরসভায় (West Bengal Municipal Elections 2022) চার জন বিজেপি কর্মী গোঁজ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওয়ার্ড সভাপতি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি-র সক্রিয় কর্মীরা। তাঁদের এই বিদ্রোহই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।


মালদা পুরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে ৪ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড-সহ মোটা চারটি ওয়ার্ডে বিজেপি-র সাংঠনিক কর্মীরা নির্দল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি সুজিত বোস জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন করছেন। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি লিড পেয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। কিন্তু জেলা বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে টিকিট না দিয়ে সিপিএম কর্মীকে মোটা টাকায় টিকিট বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ করেন সুজিত। তাই স্বেচ্ছায় তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: 'আমি বিজেপি-তেই আছি', মুকুলের মতোই এ বার দাবি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিতের


মালদা উত্তরে বিজেপি-র সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান, রাজ্য নেতৃত্ব যাঁদের যোগ্য বলে মনে করেছেন, তাঁদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। তবে কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ এবং অভিমান রয়েছে, সে কথা মেনে নেন উজ্জ্বল। তা মেটানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। দু’-এক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।


তবে এই নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জোড়াফুল শিবির (TMC)। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, “ এই দলটির মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এরা মানুষের কাজ করে না। মানুষের পাশে থাকে না। তাই সারা ক্ষণ নিজেদের মধ্যে কলহে ব্যস্ত।”