অভিজিৎ চৌধুরী, ইংরেজবাজার: বিয়ের দিন জানা গেল প্রতারকের আসল পরিচয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ পাত্রের বিরুদ্ধে। কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ। এই প্রতারকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি পত্রিকায় বিবাহ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের সূত্রে প্রায় তিন বছর আগে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে আলাপ হয় এই প্রতারকের। সে নিজেকে কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দেয়। এই প্রতারকের নাম সুমন মজুমদার। সে পরিচয় দেওয়ার সময় বলে, তার বাড়ি মালদা শহরের সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায়। ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য খরচের কথা বলে ধাপে ধাপে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেয় সে। বিয়ের দিনে হবু বরের পর্দাফাঁস করল পুলিশ।
যে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে এই প্রতারকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তাঁর নাম পূজা সেন (৩১)। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর এলাকায়। তাঁর বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। আজ দুপুরে হবু পাত্রের খোঁজে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন এই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি জানান, তাঁর বিয়ের জন্য গত তিন বছর আগে পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মোবাইল ফোন মারফত অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে সুমন মজুমদার তাঁদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁদের বিয়েও ঠিক হয়। কিন্তু বারবার বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিতে থাকে সুমন। শেষপর্যন্ত আজ, ২ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ার কারণে ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী হবু বরের খোঁজে উপস্থিত হন মালদা শহরে। হাতে পাত্রের ছবি এবং পুলিশের কাছে অভিযোগের কপি নিয়ে মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লী এলাকায় হন্যে হয়ে খুঁজেও খুঁজে পাননি হবু বরকে। বিয়ের দিন বরের খোঁজ না পেয়ে বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে পাত্রী আবার ফিরে যান নিজের বাড়ি।
পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। প্রতারকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। সে আর কোনও মহিলার সঙ্গে এরকম প্রতারণা করেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।