করুণাময় সিংহ, মালদা: মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে ক্ষোভ। তার জেরেই শিক্ষকদের উপর চড়াও হল স্কুলের পড়ুয়ারা। মালদার পুখুরিয়ার স্কুলে কার্যত ধুন্ধুমার হল। প্রথমে বিবাদ, তারপর হাতাহাতি। তারপরে বাঁশ নিয়ে শিক্ষকদের তাড়া করতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। আর এই গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল রয়েছে। তারপরেই ঘটনার কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্কুলের ২ জন শিক্ষক ও ২ ছাত্র জখম হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ কোথায়?
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্কুলের সামনেই শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতি। বাঁশ নিয়ে তাড়া করতে গেল পড়ুয়াদের।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, ওএমআর শিট জালিয়াতি, নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করেও টাকা দিয়ে শিক্ষকের চাকরির মতো একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ বাংলার শিক্ষামহল। তারই মধ্যে এবার মালদার পুখুরিয়ার সম্বলপুরে সামনে এল আরও এক লজ্জাজনক ছবি।
পুখুরিয়ার সম্বলপুর অঞ্চল হাইস্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ফেয়ারওয়েলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পড়ুয়াদের দাবি ছিল ওই অনুষ্ঠানে সব ছাত্রছাত্রীকেই মিষ্টির প্যাকেট দিতে হবে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, শুধু দশম ও দ্বাদশের পড়ুয়াদেরই প্যাকেট দেওয়া হবে। তা নিয়েই গন্ডগোল বাধে। বুধবার শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায়। বাঁশ নিয়ে শিক্ষকদের তাড়া করে ছাত্ররা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জখম হন ২ শিক্ষক ও ২ ছাত্র।
মালদার সম্বলপুর অঞ্চল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আহসানুল হক বলেন, 'ছাত্রদের দাবি ছিল পঞ্চম থেকে দ্বাদশ সবাইকেই মিষ্টির প্যাকেট দিতে হবে। কিন্তু স্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাই নিয়ে গন্ডগোল বাধে।' গন্ডগোলের কথা মানলেও শিক্ষকদের সঙ্গে পড়ুয়াদের হাতাহাতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, 'পড়ুয়াদের থেকে টাকা নিই না। স্কুলের ফান্ড থেকে করি। তাই সবার খাবার ব্যবস্থা করতে পারিনি। স্কুলের মধ্যে কিছু হয়নি। বাকিটা জানি না।'
ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।
মালদাতেই মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ:
নিম্নমানের মিড ডে মিল দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের তালাবন্দি করে রাখলেন অভিভাবকরা। গতকাল এই ছবি দেখা গেল মালদার ইংরেজবাজারের অমৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২ ঘণ্টারও বেশি স্কুলে আটকে থাকেন
শিক্ষকরা। অবশেষে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। নিম্নমানের মিড ডে মিলের কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক শান্তিগোপাল মণ্ডল। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গয়না-টাকা আপনার? উত্তরে পার্থ বললেন, "সবাই ভাল থাকুন''