মালদা: ফের বিজেপি-কংগ্রেস (BJP Congress) গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। 'বাংলার বকেয়া নিয়ে একবারও মোদির কাছে দরবার করেননি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। যে অমিত শাহ এনআরসির কথা বলেছিলেন, তাঁর সিআরপিএফ অধীর চৌধুরীকে পাহারা দেয়', মালদার মালতীপুরের সভা থেকে এভাবেই অধীরকে নিশানা অভিষেকের।


যদিও পাল্টা খোঁচা অধীর চৌধুরীর। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে সবাইকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী তো আমাদের প্রস্তাবে সাড়াই দেননি। সংসদের প্রোটোকল মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরও ২ জন পুলিশ আছেন। তাহলে আমার সঙ্গে কার জোট? বিজেপির নাকি তৃণমূলের?'।


লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণেই সম্প্রতি একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম তৃণমূলে নবজোয়ার। এই কর্মসূচির জন্য সম্প্রতি রাজ্য সফর শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই এই কর্মসূচির খরচের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার প্রায় একই সুরে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। নবজোয়ার কর্মসূচিকে নবভাটা বলে কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদের।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে শান দিতে ২ মাস ব্যাপী নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন অভিষেক। তাঁর মেগা কর্মসূচি উপলক্ষ্য়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। আর এই বিষয়টি নিয়েই বারবার প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তৃণমূল তার দলের কর্মসূচির জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে কি রাজ্যের কোষাগারে টাকা জমা দিয়েছে? নাকি সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। খরচের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদারও।


আরও পড়ুন, প্রবল গ্রীষ্ম বাড়ায় অ্যাজ়মার প্রবণতা, তীব্র হয় কষ্ট, কীভাবে বাঁচবেন


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


শুভেন্দুর প্রশ্নের পরদিন মঙ্গলবারই কর্মসূচির খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধীর চৌধুরীও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'সরকারি টাকায় সব হচ্ছে । পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এত টাকা আসছে কী করে? এত চুরি করে তাতেও পেট ভরছে না তাই নবজোয়ার। তবে এটা আপনার দলের জন্য নবভাটাতে রূপান্তরিত হয়েছে। মানুষ আপনাদের আর গ্রহণ করতে চাইছে না তাই সুন্দর কথা বানাতে হচ্ছে। যেখানে যাচ্ছেন মারামারি হাতাহাতি। সার্কাস হচ্ছে। বাংলায় তাহলে দুই সংগঠন পিসির এবং ভাইপোর।'