করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন। তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন বিজেপির ১৫ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক দীপক কর্মকার-সহ ৫০ জন কর্মী। শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন শতাধিক কংগ্রেস কর্মীও। গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। দলত্যাগী বিজেপি নেতা ও কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান। এ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছিল  বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারের গলায়। তিনি বলেছিলেন, যতই কেন্দ্রীয় সংস্থা হোক না কেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন,  "বিজেপি কারও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষও।"


আরও পড়ুন, কালো মেঘে ঢাকছে আকাশ! সপ্তাহের শুরুতে ফের বৃষ্টির চোখ রাঙানি বঙ্গে?


অবশ্য মালদায় তৃণমূলের ভিত আরও শক্ত হলেও, বড় ধাক্কা এসেছে ত্রিপুরায়। দলবদলের এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরায় পদত্যাগ করলেন, তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল বাসিত খান। দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তৃণমূলে সর্বভারতীয় বলে কিছু নেই, কটাক্ষ বিজেপির।                                                       


 



 


বছর ঘুরলে ত্রিপুরায় হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ফের ধাক্কা খেল তৃণমূল। দল বদলের জল্পনার আবহে রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিককে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তারা। ৩ দিনের মাথায় দল ছাড়লেন তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল বাসিত খান। এর আগে ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সুবল ভৌমিককে অপসারণ করা হয়। তিনি ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে, তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরেই দ্বিমত রয়েছে বলে সূত্রের খবর।