করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বিস্ফোরণ (Blast), এবার ঘটনা মালদার (Malda) চাঁচলে (Chanchal)। বৃহস্পতিবার রাতে একেবারে আম বাসিন্দার বাড়ির পাশেই, একটি ফাঁকা জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাটির নিচে বস্তায় বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। 


যা জানা গেল...
গত কাল মাঝরাতে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে মালদার চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর এলাকা। গতকাল মধ্য় রাতে হঠাৎ ওই বিকট শব্দের পাশাপাশি চারদিক ঘন কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি নলকূপের ধারে মাটির নিচে বস্তায় করে বোমা মজুত করা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এদিনই আবার বীরভূমের নানুর থেকে দু'ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। একটি বাড়ির পাশ থেকে বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-বিস্ফোরক উদ্ধারের একের পর এক খবরে ফের আতঙ্কের চোরাস্রোত সাধারণ মানুষের মধ্যে।


চাপড়ায় বিস্ফোরণ...
দিনদুয়েক আগেই নদীয়ার চাপড়ার হাতিশালায় ঘরে মজুদ বোমা ফেটে ভেঙে পড়েছিল দেওয়াল। শোনা যায়, তৃণমূল কর্মী সাইফুল সেখের বাড়িতে ওই বোমা মজুদ করা ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুল সেখের বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ হয়। ফলে তার বাড়ির একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, গাঁথনি দেওয়াল সমস্তটাই ধসে পড়ে। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়ির একাংশ। বড় রকমের বিস্ফোরণের আওয়াজ হয়, এবং স্থানীয়দের মতে সন্ধের দিকেই বিস্ফোরণ ঘটে। এর আগে ২২ মে, দুবরাজপুরে (Dubrajpur Incident) বাড়িতে মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে মজুত বোমায় বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রেও। প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে যায় তৃণমূলকর্মীর বাড়ির একাংশ। প্রথমে এগরা, তারপর বজবজ, আর তারপর দুবরাজপুর। সাত দিনে রাজ্যের তিন জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাড়িতে মজুত বোমা থেকেই এদিন বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলকর্মীর বাড়িতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীর বাড়ির একাংশ। জানা গিয়েছে, সিঁড়ির নীচে রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। তার পর বিস্ফোরণ হল নদিয়ার চাপড়ায়। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই।  খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার।


আরও পড়ুন:ফোন চুরি গেল লন্ডনে, ফেরতও এল পনের মিনিটে !