মালদা: ডাউন বেঙ্গালুরু সুপার ফাস্ট ট্রেনে আগুন (Fire Incident)। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বি-১ কোচে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, মালদা স্টেশন ছাড়তেই ওই ট্রেনে আগুন ধরে যায়। এরপরেই তড়িঘড়ি ট্রেন থামান চালক। তবে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ডাউন বেঙ্গালুরু সুপার ফাস্ট ট্রেনটি। কিন্তু কেন কী করে লাগল আগুন ? খতিয়ে দেখছে রেল (Indian Railway)।


যদিও এই ঘটনায় অন্য বিশ্লেষণ, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের। তিনি বলেন, 'কোচের বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কোচের মধ্যে ধোঁয়া হলে, আতঙ্ক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেত, কিন্তু এরকম কিছু ঘটনা ঘটেনি, যেটায় বিপদ হতে পারে। যাত্রীদের যাতে আর কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেজন্য নতুন কোচে বসিয়ে আমরা ট্রেনটিকে এখনই চালাবার চেষ্টা করছি।'


চলতি বছরের মে মাসেই মালদার (Malda) চাঁচোলের মালাহার স্টেশনে ট্রেনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল (Fire Breaks Out in Train)।  ধোঁয়া উঠতে দেখেছিলেন যাত্রীরা। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাটিহার থেকে মালদা আসছিল ট্রেনটি। আর এই ঘটনার ফলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে মালদার ভালুকায় স্টেশনে প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় আটকে থাকতে হয়েছিল।


প্রসঙ্গত, নতুন বছর পড়তেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে রেল পথগুলিতে। এর আগে বাতাসপুরে (Bataspur Rail Station) রেল স্টেশনের কাছে মালগাড়ির গার্ডের কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল এপ্রিলের শুরুতেই।  রেল সূত্রে জানা গিয়েছিল, আপ লাইনে (Up Line) মালগাড়িটি বোলপুর থেকে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। বাতাসপুর স্টেশন ঢোকার আগে মাঝের লাইনে যাওয়ার সময় গার্ডের (Train Guard) কামরার চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেন চলাচল সেই ভাবে বিঘ্ন না হলেও মাঝের লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল সেবার।


পাশাপাশি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটেছিল হাওড়া জেলায়। তবে সেবার মালগাড়ি নয়, লাইনচ্যুত হয়েছিল যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। হাওড়ার স্টেশনে (Howrah Station) ঢোকার আগে লাইনচ্যুত হয়েছিল আমতা লোকাল (Amta Local Detailed)। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন সেবার যাত্রীরা (Passengers Got Saved)। ওইদিন সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হয়েছিল আমতা লোকালের শেষ থেকে ৩ নম্বর কামরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তবে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।


আরও পড়ুন, যাদবপুরে খুনের হুমকি চিঠিতে 'অধ্যাপকের' নাম ! GPO-র দ্বারস্থ পুলিশ


এই ঘটনার সাময়িক একটা প্রভাব পড়েছিল ট্রেন চলাচলে। ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যখন ট্রেনটি ঢুকছিল, তখনই ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে আশার কথা, ওই কামরায় যাঁরা ছিলেন সেই যাত্রীরা কেউ হতাহত হননি। পরে সেই লাইনচ্যুত কামরাটিকে আবার লাইনে তোলা হয়েছিল। তার পর ট্রেনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।তবে ট্রেনটি সরে যাওয়ায় পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।