কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি (Threat letter) চিঠির তদন্তে নয়া মোড়। জানা গিয়েছে, হুমকি চিঠিতে প্রেরক হিসেবে জনৈক রানা রায়ের নাম রয়েছে। মূলত রানা রায় হলেন কোচবিহারের অধ্যাপক। গতকালই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তবে তিনি এই চিঠি পাঠাননি বলেই দাবি অধ্যাপক রায়ের। তাহলে এবার প্রশ্ন উঠছে কে পাঠাল এই চিঠি ? উত্তর খুঁজতে জিপিও-র দ্বারস্থ পুলিশ। ইতিমধ্যেই হুমকি চিঠিকাণ্ডে ৫০৬, ৫০৯ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সম্প্রতি যাদবপুরে রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানান ২ আধিকারিক। মূলত যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (JU Student Death) সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সেই সৌরভের কোনও ক্ষতি হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, সৌরভ চৌধুরী পাশ করে গেলেও তিনি হস্টেলেই থাকতেন। স্বপ্নদীপের বাবার মুখে বারবার উঠে এসেছে এই সৌরভের নাম। তিনি সরাসরি সৌরভের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। তদন্তে নেমে এরপরেই সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। তারপর থেকে দফায় দফায় চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর,'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে'। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাত পরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ (Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'I.N.D.I.A জোট ক্ষমতায় এলে রান্নার গ্যাসের দাম ৫০০ টাকা..', প্রতিশ্রুতি অভিষেকের
পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের। হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনের পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত আরও কয়েকজনের ফোন পুলিশের স্ক্যানারে।