করুণাময় সিংহ, মালদা: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (Gold Trader) বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে চাঞ্চল্য মালদার (Malda) বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার রায়পুরে। ব্যবসায়ীর (Gold Trader) নাম সুশান্ত লালা। পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্ত জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। ফলে এমন ঘটনার নেপথ্যে কারা, সেটা বুঝতে পারছে না ব্যবসায়ীর পরিবার।


কী ঘটেছিল? 
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে খবর, গত কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি বিকট আওয়াজে তাঁদের ঘুম ভাঙে। বেরিয়ে আসতে গেলে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির ছাদে আগুন জ্বলছে। দ্রুত ছাদের উপরে উঠে নিজেরাই সেই আগুন নেভান। পরবর্তীতে বৈষ্ণবনগর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। কিন্তু সুশান্ত জানান, তাঁদের সঙ্গে কারও কোনওরকম শত্রুতা নেই। তার পর এহেন ঘটনা কে বা কারা ঘটাল? এখনও অন্ধকারে পরিবার। তবে ঘটনার সময়, একটি মোটর বাইকের আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। ইতিমধ্যেই বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ওই বোমার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সূত্রে খবর, বোমাগুলি পেট্রোল বোমা । কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনার পর থেকেই এলাকা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


আগেও আক্রান্ত ব্যবসায়ী... 
ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। হাওড়ার সাঁকরাইলে বাড়ির কাছেই প্রাণঘাতী হামলা শিকার হলেন এক ব্যবসায়ী। হামলায় জখম করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করল দুষ্কৃতীরা। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। প্রায় ২ লক্ষ টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ আসে। হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত চাপাতলা সর্দারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত বারোটা নাগাদ প্রতিদিনের মত বেকারি ব্যবসায়ী আসলাম মোল্লা দোকান বন্ধ করে টাকার ব্যাগ নিয়ে চাপাতলার সর্দারপাড়ায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুইজন বাইকআরোহী দুষ্কৃতী বাড়ির কাছাকাছি তাঁকে পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে মাথায় মারে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর পিঠে আঘাত করা হয়। তারপর দুষ্কৃতীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরবাইকে চেপে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। পরে আসলামের এক আত্মীয় বাড়ি ফেরার সময় দেখেন মাটিতে একটি ফোন পড়ে রয়েছে। ওই ফোনে আলো জ্বলায় সেটি তাঁর চোখে পড়ে। ফোন ধরে ওয়ালপেপারে আসলামের ছবি দেখে ফোনটি চিনতে পারেন তিনি। তারপর বাড়ির দিকে এগোতেই তিনি দেখেন বাড়ির কাছাকাছি আসলাম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তা দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পড়শিরা জড়ো হন। বাড়ির লোক ও পড়শিরা তাঁকে হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ওই হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। 


আরও পড়ুন:নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে! কীভাবে খাবেন?