করুণাময় সিংহ, মালদা: সিপিএমের (CPM Candidate House Ransacked) জয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে। ওই জয়ী প্রার্থীকে অপহরণেরও অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মালদার (Malda) চাচল ১ নম্বর ব্লকের মধ্যমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৬ নম্বর বুথের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।


কী অভিযোগ?
২০ আসন বিশিষ্ট মধ্যমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯টি পেয়েছিল তৃণমূল। ৮টি আসন যায় কংগ্রেসের দখলে। ২টি-তে জিতেছিল সিপিএম এবং ১টি পায় বিজেপি। ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই ভোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। প্রত্যেকেই নিজেদের জয়ী প্রার্থীদের গোপন আস্তানায় রেখেছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের জয়ী প্রার্থীরা কংগ্রেসকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ১৩৬ নং বুথের জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী আনোয়ার আলিও। আনোয়ার বাড়ির লোকেদের জানিয়েই কংগ্রেসের প্রার্থীদের সঙ্গে গোপন আস্তানায় যান বলে খবর। কিন্তু এখন কংগ্রেসের দাবি, আনোয়ার তাদের আস্তানায় নেই। তৃণমূলের ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরা আনোয়ার আলির বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরও করা হয়। সোনা-গয়না এবং নগদ অর্থ লুটপাট করা হয় সেদিন। এই নিয়ে বিপুল উত্তেজনা চলে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, এর আগেও কখনও বিরোধী প্রার্থী, কখনও আবার তাঁর আত্মীয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যে। 


আগে যা...
পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের কয়েক দিন পরই অশোকনগরের চড়কতলা এলাকায়  বিজেরি প্রার্থীর জা-কে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর পেটে ও কোমরে কোপ বসানো হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভোট-পর্ব মিটলেও এই ধরনের হামলার অভিযোগ একাধিক জায়গা থেকে এসে চলেছে। ওই দিনই যেমন, ব্যারাকপুরের মোহনপুর পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর  ভাইকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির  বিরুদ্ধে। রড-বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে, এমনই অভিযোগ। সবটাই উড়িয়ে দেয় বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের মোহনপুরের ঘটনা। মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূলের সদস্য প্রসেনজিৎ পাত্রর ভাই পেশায় টোটোচালক। অভিযোগ, গত কাল অর্থাৎ শনিবার রাতে তাঁর টোটোয় যাত্রী সেজে উঠে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর অনুগামীরা। হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, এটি তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলের জের।


 


আরও পড়ুন:'চাকরি হোক, মমতা চান না', মন্তব্য শুভেন্দুর