মালদা: লোকসভা ভোটের মুখে উত্তপ্ত মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা উদ্বোধন নিয়ে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের বচসা, হাতাহাতি। আর এর মাঝে পড়ে জখম হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ নং ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল। রাস্তার শিলান্যাস না করেই ফিরতে হল জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের। 


 তৃণমূল ও কংগ্রেস-সিপিএমের বচসা-ধস্তাধস্তিতে স্থগিত হয়ে গেল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার শিলান্য়াস।  দু'পক্ষকে শান্ত করতে গিয়ে হাত কাটল বিডিওর। তৃণমূলের দখলে থাকা জেলা পরিষদ? নাকি কংগ্রেস-সিপিএম জোটের হাতে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত? রাস্তার শিলান্য়াস করবে কারা?এনিয়ে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে শাসক দল ও বিরোধীদের বচসা গড়াল ধস্তাধস্তিতে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে স্থগিতই হয়ে গেল শিলান্য়াস।


হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যানন্দপুরে পথশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ ১০ লক্ষ টাকা ব্য়য়ে ২৬০ মিটার রাস্তা তৈরি হবে। মালদা জেলা পরিষদ রয়েছে তৃণমূলের দখলে।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দখলে। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্য়ক্ষ, জেলা পরিষদ সদস্যা সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা শিলান্য়াস অনুষ্ঠানে আসেন। কংগ্রেস-সিপিএম জোটের তরফে শিলান্য়াসের জন্য় আসেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সহ নেতা-কর্মীরা। শিলান্য়াস ঘিরে দু'পক্ষের মধ্য়ে বচসা-ধস্তাধস্তিতে তুলুম উত্তেজনা ছড়ায়। মাঝে পড়ে আহত হন বিডিও। 



হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বরের বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ওখানে একটা বচসা হয়েছে। ওখানে পলিটিক্য়াল দ্বন্দ্ব আছে। এ বলছে শিলান্য়াস করবে, ও বলছে শিলান্য়াস করবে। এই নিয়ে একটু ধস্তাধস্তিতে আঁচড় লেগে কেটে গেছে। রাস্তার শিলান্য়াস ঘিরে ধুন্ধুমার। একে অপরকে নিশানা তৃণমূল ও কংগ্রেস-সিপিএমের।


আরও পড়ুন, মীনাক্ষীর নেতৃত্বে বসিরহাটে SP অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, অবরুদ্ধ বসিরহাট-তেঁতুলিয়া রোড


হরিশ্চন্দ্রপুর কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি  আব্দুস সোভান বলেন, তৃণমূলের কিছু, ঔদ্ধত্য় তৃণমূল আছে তারা অযথা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। বিডিও সাবেহকে হেনস্থা করেছে। এরা নিজের সবকিছু নিজের প্রভাব খাটিয়ে করতে চায়। এটা তৃণমূলের কালচার। তৃণমূল করবেই। হরিশ্চন্দ্রপুর যুব তৃণমূল সভাপতি মণিরুল ইসলাম বলেন,  রাস্তা নিয়ে আজকে যে দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনা ঘটল এটা না ঘটলেই ভাল হত। ঘটনাটা যেটা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো কিন্তু তৃণমূলের নয়। উন্নয়ন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় করছেন। ওনাদের বিরোধী দলের সচেতন হওয়া উচিত ছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের লোকেরা থাকবেন।