করুণাময় সিংহ, মালদা: ডাকাতির (dacoity) বড়সড় ছক (conspiracy) বানচাল (foil) করল মানিকচক থানার (manikchowk police) পুলিশ। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ গ্রেফতার (arrest) দুজন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। 


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচক থানার রামু টোলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মেলে। গ্রেফতার করা হয় ফিটু শেখ এবং রোহন শেখ নামে দুই সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে। তদন্তকারীদের ধারণা, মানিকচক এলাকায় ডাকাতির বড়সড় উদ্দেশ্য ছিল এই দুই দুষ্কৃতীদের। সেই জন্যই জড়ো হয়েছিল তারা, খবর পুলিশ সূত্রে। উল্লেখ্য পুজোর আগে খাস কলকাতার বুকে কার্যত একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। 


এক ঘটনা বরানগরেও...
পুজোর আগে বরাহনগর সোনাপট্টিতে বড়সড় ডাকাতির ছক কষেছিল বরাহনগর এ কে মুখার্জি রোডের বাসিন্দা কুখ্যাত দুস্কৃতি শুভম ভট্টাচার্য ওরফে কদম ও তাঁর চার সহযোগী। পুলিশ গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে, ভোর রাতে ওই দুষ্কৃতি দল যখন বাইকে চেপে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বরাহনগর সোনাপট্টিতে জড়ো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের আটক করে পুলিশ। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি চপার উদ্ধার করে। এবং তা বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে যে বাইকে করে পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন এসেছিল, সেই বাইকটিও আটক করা হয়েছিল। পরে কদম-সহ পাঁচ দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ সরকার, সুদীপ্ত সাউ, রবিশঙ্কর দত্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর মালাকার। তার আগে, গত জুন মাসের মাঝমাঝিও পুলিশের তৎপরতায়,বড়সড় এক ডাকাতির ছক বানচাল হয়। তবে সেটা উত্তর ২৪ পরগনা নয়, ঘটনাটা ঘটেছিল মালদা জেলায়। মালদার চাঁচল থানার পুলিশের তৎপরতায় মূলত তা সম্ভব হয়। রাতে পুলিশি অভিযান চলাকালিন চাঁচলের পাহারপুর এলাকা থেকে অস্ত্র  সমেত ছয় জনের ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে চাঁচল থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে যখন পুলিশি অভিযান চলছিল পাহারপুরে, সেই সময় কাছেই শিমুলতলায় বিলাসবহুল গাড়ি থামিয়ে একদল যুবক জড়ো হয়েছিল। সেই সময় টহল দেওয়া পুলিশের দল গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেই সন্দেহ হয়। সেই সময় তাঁদের গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র। 


আরও পড়ুন:শালিমার স্টেশনের কাছে আগুন, পুড়ে ছাই অন্তত ৮ দোকান