করুণাময় সিংহ, মালদা: শেষপর্যন্ত রক্ষকই ভক্ষক! মালদায় (Malda) ব্যবসায়ীর (Businessman)বাড়িতে ‘ডাকাতি’ (Decoity)।  আর এই ঘটনায় অভিযোগের তির তিন পুলিশ (Police) কর্মীর বিরুদ্ধে।  ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে রাতে হানা দিয়ে ৩৪ ভরি সোনার গয়না, ২৫ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যবসার কাজে ওই টাকা ব্যবসায়ীতে বাড়িতে রেখেছিলেন বলে দাবি। কালিয়াচকে ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে লুঠপাট চালানোর এই  অভিযোগ উঠেছে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) জানিয়েছেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে  ১ এএসআই, ২ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে ৩ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড করা হয়েছে।


৫২ বিঘা এলাকার ব্যবসায়ী ও লেবার কনট্রাকটর আসরাউল শেখের অভিযোগ,মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন কালিয়াচক থানার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁরা ঘর তছনছ করেন, লুঠ করেন ৩৪ ভরি সোনার গয়না ও শ্রমিকদের পেমেন্ট করার জন্য রাখা নগদ ২৫ লক্ষ টাকা। বাধা দিলে মারধর করা হয় বাড়ির সদস্যদের।  ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও নালিশই নেই। তারপরও পুলিশ এই কাণ্ড করেছে।


এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে মালদা জেলা পুলিশ। তল্লাশির কথা স্বীকার করে ASP গ্রামীণ জানিয়েছেন, ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ASI পীযূষ মণ্ডল এবং ২ কনস্টেবলকে।


ঘটনার জেরে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীর পরিবার।অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।


এভাবে বিপদ থেকে রক্ষা করার কথা যাঁদের, সেই রক্ষকদের বিরুদ্ধেই ভক্ষক হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠল। ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে!


এদিকে, বেলুড় থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে মোবাইল দোকানের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল।  টালি ভেঙে সিলিং কেটে দোকানের ভেতরে নামে চোর।  প্রথমেই চেয়ে সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়ে দেয়। তারপর দীর্ঘক্ষন ধরে লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। সকালে দোকান খুলে অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায় দোকান মালিক। প্রায় ৫০ টা মোবাইল, ব্লুটুথ ইত্যাদী চুরি গেছে বলে দাবী। বেলুড় থানায় খবর দিলে পুলিশ আসে।  তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে জিটি রোড সংলগ্ন লিলুয়া স্টেশন রোডে দীর্ঘক্ষন ধরে ঘটা এই ঘটনায় পুলিশের টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  বিশেষত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এর অন্যান্য থানা এলাকায় চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও গত একবছরে বেলুড় থানা একটাও  উদ্ধার করতে পারেনি। তাই পুলিশি ব্যবস্থা কে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।