করুণাময় সিংহ, মালদা: গোটা রাজ্যে বিপুল জনসমর্থন পেলেও, ইংরেজবাজার (English Bazar) থেকে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সেই খামতি পুরভোটে (WB Municipal Polls 2022) মিটিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ রয়েছে দলের। কিন্তু পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রকট হচ্ছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এ বার এলাকার ডাকসাইটে নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে (Krishnendu Narayan Choudhury) বাদ দিয়েই পুরভোটের রণকৌশল তৈরির বৈঠক সম্পন্ন করার অভিযোগ জেলার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।


পুরভটের রণকৌশল তৈরি করতে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর এবং ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মালদা (Malda News) তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।মালদা জেলা পরিষদের বিনয় সরকারের অতিথি নিবাসে ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সেচ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন-সহ জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি। কিন্তু বৈঠকে দেখা যায়নি কৃষ্ণেন্দুকে। তাঁর না থাকা নিয়ে জল্পনার মধ্যে কৃষ্ণেন্দু জানালেন, তাঁকে বৈঠকে ডাকাই হয়নি।  


এবিপি আনন্দকে কৃষ্ণেন্দু জানান, তিনি সুস্থ রয়েছেন। কোর্টের কাজকর্ম করেছেন। আমন্ত্রণ না জানালে আগন্তুকের মতো বৈঠকে যাবেন না তিনি। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘ভেলকিবাজির চালে দল চলছে।’’ যদিও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে পাল্টা দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল। তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থতার কারণে কৃষ্ণেন্দুবাবু বৈঠকে হাজির হতে পারেননি।’’ কৃষ্ণেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য না করলেও, সাবিনার দাবি, পুরভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে ভরাডুবির জন্য দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করেন তিনি।


আরও পড়ুন: Birbhum News: দুবরাজপুরেও ভাঙন, একসঙ্গে পদ ছাড়লেন ৩০ বিজেপি নেতা


এই গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। তা নিয়ে তাদের কটাক্ষ করেছে বিজেপি-ও। দক্ষিণ মালদায় বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েই  গন্ডগোল। সাত বছরে যে ভাবে তৃণমূল পুরসভা চালিয়েছে, তাতে মানুষ ওঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।’’


গত বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। বরং সেখানে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এমন অবস্থায় দলের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তাঁদের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে।