করুণাময় সিংহ, মালদা: বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS 2024) চলাকালীন মালদার কালিয়াচক-২নং ব্লকের দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মোট ৫ পরীক্ষার্থী। বাঙ্গীটোলা গ্রামীণ হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা দিলেন অসুস্থ পরীক্ষার্থীরা।


জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্য়ে ২ জন বাঙ্গিটোলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবং অন্য ৩ জন আইডিয়াল হাইমাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল হঠাৎ  তাঁদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে । তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের মধ্যে তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। একজন পরীক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ রয়েছেন।


প্রসঙ্গত, এবার মাধ্যমিকেও এমন নজির রয়েছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরের একের পর এক ব্যাতিক্রমী খবর প্রকাশ্যে আসে চলতি বছরে। এর মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল এবার। ইচ্ছেশক্তির থেকে বড় কিছু নেই, তা এদিন ফের প্রমাণ দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা ।


সাপের কামড় খাওয়ার পরেও হাসপাতালের বেডেই বসেই পরীক্ষা দেয় এবার এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আচমকাই গভীর রাতে সাপে কামড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। এরপরে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপর প্রবল মনোবলের পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের বেডেই বসেই পরীক্ষা দিয়েছিল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছিল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Hospital)।


অপরদিকে, সম্প্রতি মালদা জেলায় দেখা গিয়েছিল  আশঙ্কার কালো মেঘ এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়ে। তবে সে ঘটনা কোনও অসুস্থ পরীক্ষার্থীর নয়। তবে চিন্তা মোটেই কম ছিল না। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৬ দিন অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন এক ছাত্রী। এদিকে ওই খবর সংবাদ মাধ্যমে আসতেই এগিয়ে এসেছিল জেলা প্রশাসন। 


আরও পড়ুন, সীমান্তে একই পরিবারে এল আধার কার্ড বাতিলের ৩ টি চিঠি, স্থানীয় TMC নেতা বললেন..


স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছিল গাফিলতির অভিযোগ। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই পরীক্ষার্থী। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। খবরের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। শিলিগুড়িতে পর্ষদের দফতরে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে ওই পরীক্ষার্থী। তারপর এই দিন পরীক্ষায় বসতে পেরে প্রশাসন এবং সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাল ওই পরীক্ষার্থী ও তাঁর পরিবার।