করণাময় সিংহ, অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: রাজ্যে এমনিতেই মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। তারই মাঝে ফের অভিযোগ উঠল মালদায়।অনিয়মিত মিড ডে মিল (Midday Meal)-সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল শিক্ষকদের তালা বন্ধ করল গ্রামবাসী। অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। শাসকদলের নাম করে গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (Head Teacher) বিরুদ্ধে। 


গতকাল দুপুরে এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লক এলাকার মীরপাড়া তাঁতিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাতিপাড়া বিদ্যালয় মিড ডে মিলে অনিয়ম চলছে। নিয়মিত মিড ডে মিল রান্না হয় না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু সাহার বাড়িতে মিড ডে মিল রান্না করা হয়। স্কুলে পানীয় জলের কোনও উৎস নেই। শিক্ষক শিক্ষিকা বা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোনও আলাদা টয়লেট নেই। পাশের ফুলহর নদীতে গিয়ে খাবার থালা-বাসন ধুতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু সাহাকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করলে মঞ্জু সাহা নিজেকে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা বলে উল্টে গ্রামবাসীদেরই হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ।


জানা গিয়েছে, মঞ্জু সাহা ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের মেম্বার। এদিকে এই সমস্ত অভিযোগ তুলে আজ গ্রামবাসী স্কুলে উপস্থিত শিক্ষকদের অফিসঘরে তালাবন্দি করে দেয়। যদিও মঞ্জু সাহা আজও স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ওই স্কুলের সহশিক্ষকদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই তারা স্কুলের বিভিন্ন ফান্ড স্কুলের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে বলে আসছিলেন কিন্তু তিনি কোনও কথাই শোনেননি। এদিকে এই বিষয়ে মঞ্জু সাহাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের ভিডিও বিজয়গিরি সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও পড়ুন, আজ অনুব্রতগড়ে শাহ-র সভা, সপ্তাহান্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাস্থলেই সভা ফিরহাদেরও


প্রসঙ্গত, এ বার মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (Mid Day Meal)। ২০২২ সালে মাত্র ছ'মাসের মধ্যে মিড ডে মিল নিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব চাইলে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয় (Scam)। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিল খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।