করুণাময় সিংহ, মালদা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পোস্ত আঠা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মালদার (Malda) চাঁচল (Chanchol) থানার পুলিশ। ধৃতদের থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা মূল্যের পোস্ত আঠা উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতরা হল আমিরুল আলম ও জহুরুল। দুই জনের বাড়ি চাঁচল-২ ব্লকের  চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, সোমবার ধৃতরা জানিয়েছে যে পুর এলাকায় পাচারের জন্যই সবাই জড়ো হয়েছিলেন। ওই খবর পুলিশের কাছে গোপনে আসতেই সেখানে হানা দিয়ে ধৃতদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে হয়। এ বিষয়ে চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু বলেন, ধৃতরা মালদহের বৈষ্ণব নগর এলাকা থেকে ওই মাদক দ্রব্য নিয়ে এসে বিক্রি করছিল।পুলিশের কাছে খবর আসতেই অভিযান চালিয়ে ধৃতদের গ্রেফতার করে। এই চক্রের সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।


শ্যামপুরের কাছে ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২২ বস্তা গাঁজা


পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman News) দুর্গাপুরের শ্যামপুরের কাছে একটি ট্রাক থেকে নয় নয় করে মোট ২২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল অনেকদিন আগে।  সব মিলিয়ে ওজন হবে প্রায় ৩৫০ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা। ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার নম্বর প্লেট বসানো ট্রাকে চাপিয়ে পাচার করা হচ্ছিল ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গোপন সূত্রে সেই খবর এসে পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো ওতপেতে ছিলেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটকান তাঁরা।


তবে ট্রাক আটকালেও, কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল আধিকারিকদের। কারণ ট্রাকে উঠেও গাঁজার নামগন্ধ পাননি তাঁরা। কারণ ধৃতরা অত্যন্ত কৌশলে বস্তাগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ট্রাকের পিছনে ডালা চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখা যায় লোহার বিশেষ কিছু ব্লক। সুন্দর ভাবে ভাগ ভাগ করে সাজানো ছিল সেগুলি। আর ওই প্রত্যেক ব্লকে একটি করে সাদা বস্তা রাখা ছিল। উপর থেকে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা ছিল সবকিছু। ফলে বোঝার উপায় ছিল না একেবারেই। 


আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ট্যুইটে ফের অর্পিতা-তৃণমূল যোগসূত্র! কটাক্ষ মমতাকে