করুণাময় সিংহ, মালদা: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে বাম পা ও বাম হাত কাটা পড়ে মালদা (malda) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল এক ভিন রাজ্যে শ্রমিকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে গাজোল (gazol) থানার একলাখী স্টেশন এলাকায়। মৃত শ্রমিকের নাম ব্রজেন মার্ডি বয়স(৩০)বছর। বাড়ি গাজোল থানার রাজা দিঘী এলাকায়। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী বিটিয়া কিস্কু ও এক মেয়ে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গ্রামের সাতজন শ্রমিক মিলে চেন্নাইয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাড়ি থেকে। গতকাল গাজোলের একলাখী স্টেশনে গৌড় লিংক এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন। ট্রেন ছাড়ার সময় দরজার পাশে বসেছিলেন ব্রজেন মার্ডি। হঠাৎই চলন্ত ট্রেন থেকে এক লাখি স্টেশনের কাছে পড়ে যান। সেই সময় বাম পা ও বাম হাত কাটা পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল পুলিশ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে রাতে চিকিৎসার জন্য আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আনা হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত শ্রমিকের পরিবার সহ গোটা গ্রামে।


কিছুদিন আগেই মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর রোড ও গুমা স্টেশনের মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোর ও এক তরুণের। ঘটনার দিন সন্ধে ৬টা ৪৩ নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে দাবি, দুজনেই ট্রেন লাইনে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল। গেমে দুই জনেই এতটাই বুঁদ ছিল যে,   ডাউন ঠাকুরনগর লোকালের চালক বারবার হর্ন দিলেও তারা শুনতে পায়নি। মৃতদের একজন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।  এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


সচেনতামূলক প্রচার ধারাবাহিকভাবে প্রচার চললেও হুঁশ ফিরছে না। বারেবারেই এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে। গত অগাস্ট মাসেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের কনাগছ গ্রাম। ট্রেনে কাটা পড়ে একই সঙ্গে চার যুবকের মৃত্যু হয়েছিল।  ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের কনাগছ গ্রামের চার যুবক রাহুল সিংহ,সৌরভ সিংহ, প্রশান্ত সিংহ এবং রাহুল সিংহ প্রত্যেকেই চোপড়া এলাকা মোটর গ্যারাজের কর্মী ছিলেন।রাখিবন্ধন উৎসবের কারনে বোনের কাছে রাখী পড়তে চারজনই বাড়িতে এসেছিলেন। রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটবে কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। সন্ধের পর এলাকার চার বন্ধু বাড়ি কাছে রেল লাইনের ধারে গিয়েছিল। ঘটনার পর কেউ কেউ জানিয়েছিলেন যে, মোবাইলে গেম খেলছিলেন তাঁরা। আবার কেউ বলেছিলেন, মোবাইলে গান শুনছিলেন তাঁরা। এই মোবাইলই তাদের জীবনকে শেষ করে দেবে এটা ভাবেনি রাহুল, প্রশান্ত, সৌরভরা।