করুণাময় সিংহ, মালদা: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ মালদায়! শুধু তাই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় অভিযোগকারীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদার চাঁচলে এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।


কী ঘটেছে:
চাঁচলের জালালপুরে ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর খোঁড়া হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০টি পুকুর খোঁড়া হচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে না। তাহলে কী ভাবে কাজ হচ্ছে? গ্রামবাসীদের দাবি, শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে, রাতে পে লোডার দিয়ে চলছে পুকুর খোঁড়ার কাজ।  অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতেই শ্রমিকদের বদলে যন্ত্রের সাহায্য চলছে মাটি কাটা। 


মারধরের অভিযোগ:
প্রশাসনের কাছে নালিশ করায়, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে অভিযোগকারীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
জালালপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম একজন অভিযোগকারী। তিনি বলেন 'বিডিও এসডিও-র কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তদন্তেও এসেছিল। প্রধানের বিরুদ্ধে বলায় তাঁর স্বামী দলবল নিয়ে মারধর করে।'


অভিযোগ অস্বীকার:
যোগাযোগ করা হলেও মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মাসতারা খাতুন। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হবিবুর রহমান বলেন, 'মিথ্যা অভিযোগ। উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র।'


বিজেপির তোপ: 
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদার বিজেপির সহ সভাপতি যুব মোর্চা সুমিত সরকার বলেন, 'তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলো দুর্নীতির কারখানায় পরিণত হয়েছে। সব জায়গাতেই মানুষের পরিবর্তে মেশিন দিয়ে কাজ হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।'


মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, 'কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। প্রশাসন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।'


যদিও মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, পুকুর খোঁড়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা ও গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের ডাক, কাল কলকাতায় মহামিছিল বিজেপির