করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার মানিকচকে তৃণমূল পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করলেন বিজেপির তিন পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রামবাসীদের একাংশ। যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রধান।
ভুয়ো বিল তৈরি করেই নাকি আত্মসাৎ করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ বিজেপির। একই দাবি গ্রামবাসীদের একাংশেরও। আর এনিয়েই শোরগোল পড়েছে মালদার মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রধান বীণা মণ্ডল একশো দিনের কাজে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন। বিল তৈরি করে সরকারি টাকা নয়ছয় করেছেন তিনি। নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য পল্লবী মণ্ডল বলেন, ''কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ১০০ দিনের কাজে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন প্রধান, ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে।
এনিয়ে সোমবারই বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে গ্রামবাসীদের একাংশও। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীপক মণ্ডল বলেন, ''১৫ জনকে কাজ করিয়ে ৪৮ জনের নামে টাকা তোলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কাজ পায়নি, প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।''
তবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তৃণমূল নেত্রী ও পঞ্চায়েত প্রধান বীনা মণ্ডল বলেন, ''বিরোধীদের কাজই হল মিথ্যে অভিযোগ তোলা, যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে সমস্তটা মিথ্যে।'' পঞ্চায়েতে ‘দুর্নীতি’ ও তৃণমূল-বিজেপি তরজা, এই বিষয়ে মানিকচকের বিডিও জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হবে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন শাসক দলেরই কর্মীরা। এমন ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামের দাউদপুর ৮ নম্বর গ্রাম। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতিতে সরব হয়েছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরা(Tmc worker)। অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আবদুল মোতালেব পঞ্চায়েতের কোনও মিটিং না করেই স্থায়ী সমিতির বিভিন্ন অর্থ তছরূপ করেছিলেন।