করুণাময় সিংহ, চাঁচল : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। কোনও দলই কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। এবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হল বিজেপি (BJP) ৷ এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বিডিওকে ৷ মালদার চাঁচল-১ নম্বর (Malda Chanchal) এলাকার বিডিওকে লিখিতভাবে মোট ১০ টি স্কিমের ক্ষেত্রে প্রায় এক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা (Prasenjit Sharma) ৷ তাঁর অভিযোগ, ওই ১০টি ক্ষেত্রে কোথাও জেসিবি (JCB) দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে, আবার কোথাও কোনও কাজ না করিয়েই জব কার্ডে টাকা দেওয়া হয়েছে ৷
ওই জবকার্ডগুলির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে প্রসেনজিৎ শর্মার। বিজেপি নেতার দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে জল নিকাশির জন্য মরা মহানন্দার মাটি খনন কাজের কথা। কিন্তু, জেসিবি দিয়ে যথসামান্য কাজ করা হয়েছে। এদিকে শ্রমিক না লাগিয়েই জবকার্ডে টাকা প্রদান করা হয়ে গিয়েছে। অনিয়মভাবে কাজ হওয়ায় মরা মহানন্দার হাল ফেরেনি। ঝোপঝাড়, কচুরিপানায় বুজে রয়েছে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জল নিকাশির ভরসা মহানন্দা। প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
চাঁচল-১ নং ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আঞ্জারুল হক 'দুর্নীতি'র দায় চাপিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের উপর। তিনি বলেন, দশ জন শ্রমিক কাজ করলে শত শত উপভোক্তার জব কার্ডে কাজ দেখানো হয়। বিডিও-র তত্ত্বাবধানে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে লুঠ চলেছে। প্রশাসন তদন্ত করলে দুর্নীতি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে। পঞ্চায়েতের সঙ্গে বিডিও-দায়ী।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, বিজেপি সরকার তো ১০০ দিনের কাজ আটকে রেখেছে। কীভাবে দুর্নীতি হল ? কাজ হলে তবেই টাকার প্রশ্ন আসে। বিজেপি মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে বলে দাবি বিধায়কের। অভিযোগকারী কাজের নিয়ম জানেন না। তাই ভুলভাল অভিযোগ তুলছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উৎপল তালুকদার বিজেপির অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ভোটের মরসুমে বাজার গরম করার জন্য বিজেপি ভুল অভিযোগ আনছে। পঞ্চায়েতের তরফে একশো দিনের তরফে স্বচ্ছভাবেই কাজ করা হয়েছে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।