করুণাময় সিংহ, মালদা: তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেও গরহাজির বিজেপি-র সদস্যরা। ফলে পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বহাল থাকলেন মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। নিজের পদ বাঁচাতে বিজেপি-কে দিয়ে অনাস্থা ডাকানোর অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব।                        


২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি আটটি করে আসন দখল করে। দু’টি আসন জয়লাভ করে কংগ্রেস। পরে কংগ্রেসের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে রাজ্যের শাসক দল। সভাপতি নির্বাচিত হন মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। সম্প্রতি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন বিজেপি-র ৬ জন সদস্য। গতকাল ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা। কিন্তু অনাস্থা আনার পরেও বিজেপি-র কোনও সদস্যই হাজির না হওয়ায় বাতিল হয়ে যায় সভা।


এই সভা বাতিল হওয়া ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের সংঘাত। পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি হারেজ আলির অভিযোগ, সভাপতি পদে বহাল থাকতে বিজেপি-র সদস্যদের দিয়ে অনাস্থা আনেন সভাপতি নিজেই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির যোগসাজশ রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।


যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। তিনি দাবি করেছেন, ‘এগুলি ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই তাই তাঁরা মিটিংয়ে আসেননি।’


এই ঘটনা ঘিরে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। দল সবকিছুর ওপর নজর রাখছে। কেউ দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’


এ বিষয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি-র সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেছেন, ‘দল এই ধরনের বিষয়কে অনুমোদন দেয় না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে।’