করুণাময় সিংহ ও অভিজৎ চৌধুরী, চাঁচল (মালদা) :  মালদার চাঁচলে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ। উড়ল রান্নাঘরের টিনের চাল। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


রবিবার ভর দুপুরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচলের আলসিয়াটোলা গ্রাম। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় রান্নাঘরের টিনের চাল। লন্ডভন্ড হয়ে যায় ঘরের জিনিসপত্র।


স্থানীয় সূত্রে খবর, আব্দুল সালাম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বাড়ির মালিকের দাবি, বিস্ফোরণের সময় ঘরে স্ত্রী ও শিশু সন্তান ছিল। তবে বরাত জোরে তারা দু’জনই প্রাণে বেঁচে গেছে। আব্দুল সালাম বলেন, ফোন পেয়ে বাড়িতে আসি। কোথা থেকে মেরেছে বলতে পারছি না, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে।


এদিকে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় সাময়িকভাবে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন গৃহকর্ত্রী। প্রতিবেশীরাই তাঁকে সুস্থ করেন। গৃহকর্ত্রী রোশনারা বিবি বলেন, শব্দ শুনে অজ্ঞান হয়ে যাই, রান্না করা খাবার নষ্ট, টিন উড়েছে, কে মারল বুঝতে পারছি না।


এদিকে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এবিষয়ে চাঁচল থানার আইসি জানিয়েছেন, বাড়িতে মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণ নাকি, বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে বাড়ির পাশেই গোবরের স্তূপ থেকে কোদাল দিয়ে সার তুলে ডালিতে ভরছিলেন। ঠিক সেই সময় গোবরের মধ্যে কোদালের কোপ পড়তেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।  দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মাণের চৌকি এলাকার ঘটনা। ঘটনায় জখম হন যুবক নাজমুল আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশবাহিনী। তবে গোবরের স্তূপের মধ্যে কীভাবে বোমা পৌঁছল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।