অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর : বেঙ্গালুরুতে ফার্মাসি পড়ত। সেখানে ফিরে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা আগে নিজের শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হল এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। তবে, মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ফার্মাসি পড়ুয়ার নাম মুজাফফর হোসেন (১৯)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে। নিজের শোওয়ার ঘর থেকে মুজাফফরের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
মৃত ছাত্রের বাবা গোলাম জাব্বার জানান, মুজাফফর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ফার্মাসি পড়ত। পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল।
শুক্রবার চারটের সময় হাটে-বাজারে ট্রেন ধরে কলকাতা হয়ে ফ্লাইট ধরে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল। ব্যাগপত্র গোছানো অবস্থায় টেবিলে পড়ে রয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে ডাকাডাকি করতে যান পরিবারের লোকেরা। অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। অবশেষে দরজা ভেঙে পরিবারের লোকেরা ঘরে ঢোকেন। দেখেন, গলায় বিছানার চাদর মুড়ে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। পরিবারে কারও সঙ্গে তার কোনও ঝামেলা ছিল না। হাসিখুশিতে সকলের সঙ্গে থাকত। কেন আত্মহত্যা করে মারা গেল তা পরিবারের কেউ জানে না।
এদিকে ফার্মাসি ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মানসিক অবসাদে মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে ছুটে আসেন মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা। মেয়ে এমনটা করবেন তা বিন্দুমাত্র টের পাননি তাঁরা। সুইসাইড নোটের (Suicide Note)সূত্র ধরে তদন্তে নামে কোতয়ালি থানার পুলিশ।