অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল: শোবার ঘর থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল চাঁচলের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৈভাত্তা গ্রামে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।


মৃত ব্যক্তির নাম পালানু প্রামাণিক (৪১)। তাঁর বাড়ি মালদার চাঁচল থানার মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৈভাত্তা গ্রামে। মৃত ব্যক্তি পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির গ্রামের বাড়ির পাশাপাশি মালদা টাউনেও একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানে তাঁর স্ত্রী, পুত্র-কন্যা থাকেন। গ্রামের বাড়িতে মা ও ভাইরা আছেন। আজ সকালে মৃত ব্যক্তির মা তাঁকে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানলা দিয়ে দেখেন, দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।


মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করা হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কীভাবে মৃত্যু হল, খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।


মৃতের স্ত্রী সাবিত্রী প্রামানিক জানিয়েছেন, ‘ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আমি মালদায় থাকি। খবর পেয়ে সকালে ছুটে এসেছি। কী কারণে আমার স্বামী আত্মঘাতী হলেন, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’


মৃতের প্রতিবেশী বুদ্ধদেব সরকার জানিয়েছেন, ‘সকালে শুনলাম আমার প্রতিবেশী পালানু প্রামাণিক আত্মঘাতী হয়েছেন। আমরা তড়িঘড়ি করে দেহ উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’


পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুন না আত্মহত্যা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এখনই মৃত্যুর কারণের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।