করুণাময় সিংহ, চাঁচল: সাতসকালে জলাশয় থেকে এক টোটো চালকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল‍্য ছড়াল মালদা জেলার মালতিপুরে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন‍্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। কীভাবে ওই টোটো চালকের মৃত্যু হল? দুর্ঘটনা না খুন? তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত টোটো চালকের নাম জনার্দন দাস (৫৫)। পেশায় টোটো চালক এই ব্যক্তি মালতিপুরের সাঞ্চিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ সকালে চাঁচল থানার মালতিপুর-গৌরহন্ড সড়কের পাশে একটি ইটভাটার সামনের জলাশয় থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।


মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও টোটো নিয়ে বেরোন তিনি। তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-পরিজনদের কাছে তাঁর বিষয়ে খোঁজ নিলেও, কেউই কিছু বলতে পারেননি। স্বামী ঘরে না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে সামসি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান মৃতের স্ত্রী ভক্তি দাস।


এই ঘটনায় পর আজ সাতসকালে মালতিপুরের গৌরসন্ডে একটি ইটভাটার জলাশয়ে দেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তবে ওই ব‍্যক্তির দেহ জলাশয়ে পড়ে থাকলেও, তাঁর টোটো সেখানে পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে রহস‍্য দানা বেঁধেছে।


মৃতের এক আত্মীয় উত্তম সরকারের অভিযোগ, তাঁকে নেশা জাতীয় কোনও দ্রব‍্য খাইয়ে দুস্কৃতীরা জলাশয়ে ফেলে দিয়ে টোটো নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয় বলেই দাবি মৃতের স্ত্রীরও।


পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, টোটো ছিনতাই করার জন‍্য মৃত ব্যক্তিকে নেশা জাতীয় দ্রব‍্য খাইয়ে জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগেও ওই এলাকায় এক টোটো চালককে মাদক দ্রব‍্য খাইয়ে তাঁর টোটো ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।