করুণাময় সিংহ, সুজাপুর (মালদা) : আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল মালদার (Malda) কালিয়াচক (Kaliachak) থানার পুলিশ। গভীর রাতে সুজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি ওয়ান শটার , ১০ রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম কারিমুল্লা শেখ, মুজাফফর রহমান, কাসেদ আলি, বাবলু শেখ ও আশিক শেখ। এর মধ্যে কারিমুল্লা, মুজাফফর ও কাসেদের বাড়ি কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সুজাপুর এলাকায়। আশিক শেখ সুলতানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা । বাবলু বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ১৮ মাইলের খেজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, এই পাঁচজন ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুজাপুরে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় একটি গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিল। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান পুলিশ । তখনই ওই পাঁচজন ধরা পড়ে। পুলিশ ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন ; রক্ষকই ভক্ষক! মালদায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সোনা ও নগদ লুঠপাঠ, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালদায় (Malda) ব্যবসায়ীর (Businessman)বাড়িতে ‘ডাকাতি’-র (Decoity) ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে তিন পুলিশ (Police) কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে রাতে হানা দিয়ে ৩৪ ভরি সোনার গয়না, ২৫ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যবসার কাজে ওই টাকা ব্যবসায়ী বাড়িতে রেখেছিলেন বলে দাবি। কালিয়াচকে ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে লুঠপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১ এএসআই, ২ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
৫২ বিঘা এলাকার ব্যবসায়ী ও লেবার কনট্রাকটর আসরাউল শেখের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন কালিয়াচক থানার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁরা ঘর তছনছ করেন, লুঠ করেন ৩৪ ভরি সোনার গয়না ও শ্রমিকদের পেমেন্ট করার জন্য রাখা নগদ ২৫ লক্ষ টাকা। বাধা দিলে মারধর করা হয় বাড়ির সদস্যদের। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও নালিশই নেই। তারপরও পুলিশ এই কাণ্ড করেছে।