করুণাময় সিংহ, মালদা: ১০০ দিনের কাজে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঘিরে মালদার (Malda) গাজোলে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ (TMC-BJP Clash)। গতকাল চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলকাঞ্চন গ্রামে এই ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের ৩ জন।


তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে তাদের কর্মীদের ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে  দু’ পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে। গতকাল সংঘর্ষ বেধে যায়। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আহত তিনজন মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সাধীন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। গাজোল থানায় দু’ পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে।


আরও পড়ুন: বেআইনিভাবে জমি দখলের অভিযোগ অনুপম হাজরার বাবার বিরুদ্ধে, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা


এদিকে গতকাল বাঁকুড়ার (Bankura) তালড্যাংরায় তৃণমূল কর্মীকে (TMC) পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বিজেপি (BJP) নেতা-সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতের নাম বিপ্লব রায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাতে বাড়ির সামনে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হামলা চলে বলে অভিযোগ। মারধরে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিশ্বজিৎ। তারপর থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তার জেরেই হামলা বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে বিজেপি।


মৃতের পরিবারের দাবি শনিবার রাত দশটা নাগাদ মান্ডি গ্রামের রাস্তার ধারে কয়েকজনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন পেশায় কৃষি সেচ দফতরের কর্মী বিপ্লব রায়। আচমকাই কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাঁৎ উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন বিপ্লব রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বিপ্লব রায়কে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বিজেপি নেতা-সহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।