অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল মালদায়। শনিবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মুকুন্দপুরের বাংলা-বিহার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দুই জন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ টাকা ও সোনার অলঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ করছে পরিবার। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চোখে রাসায়নিক ছিটিয়ে টাকা-গয়না লুঠের অভিযোগ। যদিও কোনও দুষ্কৃতীকেই শনাক্ত করতে পারেননি ওই ব‍্যবসায়ী। পরে তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আহত অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তিকে। এরপর চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয় আহত ব্যক্তিকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন রাতে মুকুন্দপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর গোপাল কেডিয়া মোড় এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই ব‍্যবসায়ী। বছর ছাব্বিশের ওই ব্যবসায়ীর নাম বিশ্বজিৎ পোদ্দার। গোটা ঘটনা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্বজিৎ পোদ্দারের পরিবারের লোকজন।


আরও পড়ুন: East Burdwan: করোনা পজিটিভ তরুণীর বিয়ে রুখল প্রশাসন, বাড়ির সামনে মোতায়েন হল সিভিক ভলান্টিয়ার


ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব‍্যবসায়ীদের মধ‍্যেও। পুলিশ যেন আরও সক্রিয় হয়, সেই দাবি তুলছে ব‍্যবসায়ী মহল। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস জানান, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা পুলিশের জালে ধরা পড়বে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। তাঁর কথায় এলাকায় যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে পুলিশ।


তবে বিহার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এই ঘটনা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন বাসিন্দারা। আহত ওই স্বর্ণ ব‍্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন জানান,  যে তরল পদার্থ তাঁর মুখে ছোঁড়া হয় সেটি এতটাই বিষাক্ত ছিল যে এখনও চোখ খুলতে পারছেন না বিশ্বজিৎবাবু। আপাতত চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন।