অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: জঞ্জাল-আবর্জনায় ঢেকেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন রোগীর আত্মীয় থেকে স্থানীয় মানুষজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তৃণমূল আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
জঞ্জাল-আবর্জনায় ঢেকেছে হাসপাতাল চত্বর: চারপাশে আগাছার জঙ্গল। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে ইঞ্জেকশনের সূচ। হাসপাতালের মধ্যে জমে রয়েছে আবর্জনা, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর এই ছবি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। অভিযোগ, দিনের পর দিন হাসপাতাল চত্বরে আবর্জনা জমলেও সে বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা আসরিকুল আলম বলেন, “চারিদিকে ময়লা জমে, সেগুলো যখন পোড়ানো হয়, ধোঁয়ার ঢেকে যায় চারপাশ।’’
রোগী হাসপাতালে আসে রোগ সারাতে! কিন্তু, এই হাসপাতালের এমন পরিস্থিতি যে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা অঞ্জলি দাস বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। যেখানে সেখানে ইনজেকশনের সুচ পড়ে থাকে। সেগুলো অনেক সময় পায়ে ঢুকে যায়।’’ যদিও এলাকার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, নিয়ম মেনেই হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “এরকমভাবে সূচ পড়ে থাকে না। সব কিছু নিয়ম মেনে পরিষ্কার করা হয়।’’
উদাসীনতা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূলের। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল, “রাজ্য-জুড়ে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের পেছনে এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শাসকদলের নেতাদের এইসব চোখে পড়ে না।’’হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা বিমান ঝা বলেন, “এই রকম ঘটে থাকলে দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে রোগ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ব্যাপারটা আমরা খতিয়ে দেখব। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার থাকা উচিত।’’ দ্রুত হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করতে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন, দাবি তুলছেন রোগীর পরিজন থেকে স্থানীয়রা।
বন্ধ থ্যালাসেমিয়া কেয়ার ইউনিট: ২ বছর ধরে বন্ধ মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের (Medinipur Medical Hospital) থ্যালাসেমিয়া কেয়ার ইউনিট। ফলে বেডের অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েই রক্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন রোগীরা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।