অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: গৃহবধূর হাতে শিকল বেঁধে তালা দিয়ে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে! মালদার (Malda) চাঁচল থানায় (Chanchak Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূর পরিবার। শ্বশুরবাড়ির তরফে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা দুই হাত। বড় তালা দিয়ে আটকানো সেই শিকল। অভিযোগ, মালদার চাঁচলের (Chanchal) মদকমপুরের বাসিন্দা এই গৃহবধূর (House Wife Torture) হাত এভাবে শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। 


বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, লাগাতার মারধরের কারণে মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁরা। চিকিৎসা করানো হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। 


অভিযোগকারিণীর কথায়, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারার জন্য তালা বেঁধে রাখে। আমাকে সংসারের জন্য খরচাপানি কিছু দেয় না। অনেক দিন থেকে অশান্তি করছে। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। সেই অবস্থাতেও শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।  


চাঁচল থানার আইসি জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বধূনির্যাতনের (Housewife Torture) যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।


গতকাল খাস কলকাতায় (Kolkata) বধূ নির্যাতনের (Housewife torture) ঘটনা সামনে আসে।  দুশ্চরিত্রের কথা বলে কাউন্সিলরের নির্দেশে মারধর করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে' বলতে বলতে গলা কেঁপে গেল মহিলার। আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওটে চোখে-মুখে। 


ফের সমাজে নীতি পুলিশির শিকার এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারে। অভিযোগের কাঠগড়ায় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। মহিলার চরিত্র খারাপ। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছেন তিনি - এই অভিযোগ তুলে গৃহবধূকে মারধর ও জরিমানা করার অভিযোগ। রোষের হাত থেকে বাদ গেলেন না বধূর পরিবারের সদস্যরাও। উত্তর ভারতের খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।


গৃহবধূর অভিযোগ, গত শুক্রবার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি বরের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। ঘরের দরজা ভেঙে বের করে মহিলাকে পিলারে বেঁধে মারধর করা হয়। স্বামীকে দিয়ে মহিলাকে লাঠিপেটা করতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা কামানোর চেষ্টা করা হয় মূক-বধির ছেলেকে দিয়ে। নিগৃহীতার আরও দাবি, এলাকায় দেখা গেলে মাথা মুড়িয়ে ঘোরানোর হুমকিও দেওয়া হয়।