অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর (মালদা) : এ যেন উলটপুরাণ ! পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে ধাক্কা শাসক শিবিরে। হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harischandrapur) তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন পাঁচ শতাধিক নেতা ও কর্মী। ঘটনা ঘিরে মালদা (Malda) জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হাতে আর মাত্র কয়েক মাস । কাঠি পড়ে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের ঢাকে। তার আগেই বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুরে কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলমের হাত ধরে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বুথ সভাপতি, ব্লক কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন পদাধিকারী।
কিন্তু কেন এই দলবদল ?
যোগদানকারীদের দাবি, দুর্নীতিতে ভরে গেছে তৃণমূল। দলের মধ্যে নেই কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা। এই দলে থেকে তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না। তাই তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা (Former MLA and Congress Leader) মুস্তাক আলমও। তিনি বলেন, "তৃণমূলের উঁচুতলা থেকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরে গেছে। ওদের বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকা চুরি করে জেলে। পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটা প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। বন্যাত্রাণ নিয়ে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে এই এলাকায়। সন্ত্রাস আর মিথ্যা মামলার দিন এবার শেষ। বিরোধী কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাচ্ছে। মানুষ আর সহ্য করবে না। সব কিছুর জবাব দেবে। সকলেই তৃণমূলের প্রতি বিতশ্রদ্ধ।"
যদিও এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূলের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, প্রচারে আসার জন্য। এইসব যোগদান লোক দেখানো। কোথাও এক দুই জন যোগ দিতে পারে। তৃণমূলের তাতে কোনও ফারাক হবে না। কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি নেই। মানুষ মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন দেখে ভোট দেবে।
যোগদানকারী শামিম আহমেদ বলেন, "আমি এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম। বর্তমানে বুথ সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। এই দলের মধ্যে কোনও নীতি, নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। চারিদিকে দুর্নীতি। মানুষের জন্য কাজ করতে আমরা কংগ্রেসে যোগ দিলাম।"
আরও পড়ুন ; 'মানুষ মমতার সঙ্গে আছে', মালদায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই দাবি জেলা সভাপতির