করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার (Malda) রতুয়ায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব (TMC Innerclash)। জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ও চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি, রতুয়ার তৃণমূল নেতা তথা রতুয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী মোহাম্মদ হেসামুদ্দিনের। 


জয় হিন্দ বাহিনীর কর্মীসভা থেকে প্রকাশ্যে আক্রমণ হেসামুদ্দিনের। তিনি বলেন, এই জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং চেয়ারম্যানকে যদি বাতিল করা না হয়, বহিষ্কার না করা হয় তাহলে একমাস পরে আমরা ভাববো কী করব। মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসকে মামা ভাগ্নে বিক্রি করে দিতে চাই। মালদায় যে পঞ্চায়েতগুলোতে অনাস্থা হয়েছে সেখানে যার বিরুদ্ধে অনাস্থা এবং যাকে গঠন করবে তার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। এরা টাকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। এদেরকে যদি দল থেকে বহিষ্কার করা না হয় তাহলে মালদা জেলায় তৃণমূলের রেজাল্ট ভালো হতে পারে না। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'কী কোথায় কী বলে বেড়াচ্ছে, তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। কে কোথায় কী বলে বেড়াচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। দলটা নিজস্ব গতিতে চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেজাল্ট প্রমাণ করে দেবে যে, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে।' 


প্রসঙ্গত, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। উলুবেড়িয়া উত্তরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, ' বিধায়ক হবেন সব মানুষের। সকলের কাছে প্রিয়। তিনি অন্য কয়েক জনকে নিয়ে আসবেন, এসে পারিষদবর্গের মতো সাজিয়ে গুজিয়ে বসবেন আর লোককে গালাগালি করবেন ?' পাল্টা উত্তর দিয়েছেন উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিও। বলেন, 'বিরোধী গোষ্ঠীর যে অনুষ্ঠান রয়েছে সেটা আমাদের নয়। বিজেপির।' এভাবে জোড়াফুলের ব্যানারে দুই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজনে স্বাভাবিক ভাবেই সমালোচনার সুযোগ পেয়েছে বিরোধী শিবির। 


আরও পড়ুন, বাংলায় আসছেন না অমিত শাহ, নবান্নয় মমতা-সাক্ষাৎ আপাতত স্থগিত


পুজোর আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'দলে মতান্তর থাকতে পারে। বদল হতে পারে পদ। তবে তার জন্য গোষ্ঠা কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। কারণ, পদ চিরস্থায়ী নয়।'