মালদা: মালদার (Malda) ইংরেজবাজার থেকে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে ৩০ হাজার মাদক ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা, একজন অসম ও আর একজন মালদার বাসিন্দা। কোথায় ওই মাদক পাচারের ছক ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  


প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ। পুলিশের জালে ধরা পড়েন তৃণমূল নেতা। ধৃতের নামল শওকত লস্কর।  তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এর নারায়ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল শওকত লস্কর এলাকার হেরোইনে ব্যবসা করছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার রাতে হানা দেওয়া হয় জীবনতলা থানার মনসাপুকুর এলাকায়। পুলিশের দাবি, ২১ গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করা হয় শওকতকে। দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যের গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নারায়ণপুরের পঞ্চায়েত প্রধান।


ঠিক সেপ্টেম্বর মাসের আগে, অভিনব উপায়ে মাদক পাচারের  চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। পার্সেলের মোড়কে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে শহরের এক পোস্ট অফিসে মাদক আনানো হয় বলে অভিযোগ।  পুলিশ সূত্রে দাবি, পোস্ট অফিস থেকে পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে বেরোন মাত্রই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। পোস্ট অফিসে পার্সেল  আনিয়ে, মাদক পাচারের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পার্সেল নিয়ে বেরোতেই হাতেনাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার মাদক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মাদক পাচারের ছক বানচাল করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পুলিশ সূত্রে দাবি, গোয়া থেকে মাদকের পার্সেল ক্যুরিয়রের মাধ্যমে কলকাতার পোস্ট অফিসে আনানো হয়েছিল। সম্ভবত কোনও রেভ পার্টিতে  এই মাদক সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। কিন্তু, সেই মতো ডেলিভারি নিতে গিয়েই ফাঁদে পড়ে ২ পাচারকারী।


আরও পড়ুন, 'কাজের সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন মানিক', তাপসকে নিয়ে কী দাবি ইডির ?


পুলিশ সূত্রে দাবি, পার্সেল আনানো হয়েছিল এন্টালি থানা এলাকার ট্যাংরা সাব পোস্টঅফিসে। পোস্ট অফিস থেকে সেই পার্সেল ডেলিভারি নেয় তিলজলার ২ বাসিন্দা। পোস্ট অফিস থেকে বেরোতেই তাদের গ্রেফতার করে STF। গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ জুনেদ ও ফৈয়াজ আলমকে। পরে জুনেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আরও মাদক।