করুণাময় সিংহ, মালদা : মালদা শহরে (Malda Town) বিমানবন্দরের (Airport) পরিকাঠামো খতিয়ে দেখল এয়ার পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দল সূত্রে খবর, এখন যা রানওয়ে আছে, তাতে ১৯ আসনের বিমান ওঠানামা সম্ভব। কিন্তু তার চেয়ে বড় বিমান ওঠা-নামা করতে গেলে রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়াতে হবে। রানওয়ের জন্য জমি ইস্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জমি জট কাটিয়ে মালদা বিমানবন্দর কত দিনে বড় বিমান চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠে এখন সেটাই দেখার। 


প্রসঙ্গত, মালদা বিমানবন্দর থেকে যাতে দ্রুত বিমান পরিষেবা শুরু করা যায়, সেবিষয়ে তৎপর হতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ৮ ডিসেম্বর জেলার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের ১২ দিনের মাথায়, মালদা এয়ারপোর্টের রানওয়ে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখল এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। সোমবার কেন্দ্রীয় সংস্থার দুই বিশেষজ্ঞ বিমানবন্দর এলাকা খতিয়ে দেখেন। নেতৃত্বে ছিলেন এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ধনঞ্জয় তিওয়ারি। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। 


এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ দল সূত্রে খবর, মালদা বিমানবন্দরে বর্তমানে যে রানওয়ে রয়েছে, ১৯ আসন বিশিষ্ট বিমান তাতে ওঠানামা করতে পারবে। কিন্তু ৪২ বা ৯০ আসনের বিমান চালাতে হলে রানওয়ে আরও বাড়াতে হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মালদা বিমানবন্দরে বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০০ মিটার। রানওয়ে বাড়াতে গেলে প্রয়োজন জমি। আর সেই জমি ঘিরেই চলছে রাজনৈতিক তরজা। মালদার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, 'আমাদের সাংসদ খগেন মুর্মু এই নিয়ে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছেন। সঠিক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য যে জমির প্রয়োজন তা অধিগ্রহণ করে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাদের সদিচ্ছার অভাবেই এই বিমানবন্দর এখনও চালু হয়নি।' এদিকে মালদার তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র শুভময় বসু বলেছেন, 'রাজ্য সরকার  pwd-র মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে পরিকাঠামো তৈরি করেছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিমানবন্দর চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন দ্রুত বিমানবন্দর চালু হবে।'


আরও পড়ুন- জমিতে ছাগল ঢোকা নিয়ে বচসা, যুবকের গোপনাঙ্গ কাটলেন‌ মহিলা