করুণাময় সিংহ, মালদা: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Account) খুলে পড়ুয়াদের স্কলারশিপের (Scholarship) টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা? এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদায় (Malda)। যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে পড়ুয়াদের নামে ডুপ্লিকেট স্কলারশিপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক (SDO)।


অনলাইনে সরকারি স্কলারশিপের আবেদন করতে গিয়ে তাজ্জব পড়ুয়া। তাঁর নামে আগেভাগেই স্কলারশিপের আবেদন করে রেখেছেন অন্য কেউ। সেই আবেদনে পরিচয়, ঠিকানা সংক্রান্ত সব তথ্য এক। আলাদা শুধু আধার আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সরকারি স্কলারশিপের টাকা আত্মসাতের চেষ্টার, মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে মালদায়। জেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, বিভিন্ন ক্লাসের শতাধিক পড়ুয়া জালিয়াতি শিকার বলে অভিযোগ।


কী করে এমনটা সম্ভব হল? তা জানতে জেলার অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরে ভিড় করছেন পড়ুয়ারা। পবিত্র কর্মকার এক ছাত্র বলেন, “স্কলারশিপের ফর্মফিলাপ করেতে এসেছি, যেটা ৩-৪ বছর থেকে পেয়ে আসছি। অ্যাপ্লিকেশন নম্বর দিয়ে যেটা রিনিউয়াল করে আসছি, সেই নম্বরের এগেনসটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়? কোনও সলিউশন নেই। এরা কিছু করতে পারছে না। কোনও হেল্পও করছে না।’’


ঐক্যশ্রী, বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, তপশিলি জাতি ও উপজাতি স্কলারশিপের যাঁরা দাবিদার, মূলত তাঁদের নামেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের সন্দেহ, এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করছে। আরেক ছাত্র নয়ন রায় বলেন, “স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে অ্যাপ্লাই করতে যাই। দেখি আমার নামে লগ ইন করে রেখেছে। মালদা অফিসে এসেছি। স্যারেরা বলছেন, তোমার নামে অন্য কেউ আবেদন করে রেখেছে। সেটা ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে ভেরিফিকেশন হয়ে গিয়েছে। ৩৮ হাজার ১০০টাকা দুষ্কৃতীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এরা কিছু করতে পারছে না। আমি কারোর কাছে ইনফরমেশন শেয়ার করিনি। এরা কী করে পেল? খালি আধার আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আলাদা।’’


মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মালদা সদরের মহকুমা শাসক জানিয়েছেন,  বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি কীভাবে এই আবেদন হল।


আরও পড়ুন: North 24 Pargana: হালিশহরে একই ওয়ার্ডে পরপর ২টি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি