করুণাময় সিংহ, মালদা: ৩ নির্দল সদস্যকে দলে যোগদান করানো নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। অঞ্চল সভাপতিকে না জানিয়ে এই যোগদান করিয়েছেন ব্লক সভা নেত্রী অভিযোগ অঞ্চল সভাপতির। 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে এই যোগদান', পাল্টা ব্লক সভানেত্রী। যোগদানের বিষয়টি জানা নেই প্রতিক্রিয়া মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির। মালদার ইংরেজবাজারের  কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।


আর এই নিয়ে ব্লক সভানেত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে , কাজীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ জন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ জন সদস্য, অঞ্চল সভাপতি এবং জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়েই এই যোগদান বলে অভিযোগ করেছেন তারা। প্রতিবাদ জানিয়ে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।


এই নিয়ে কাজীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ জন তৃণমূল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অঞ্চল সভাপতি সত্যজিৎ চৌধুরী জানান, 'আমি অঞ্চল সভাপতি অথচ আমাকেও এই যোগদান সম্বন্ধে জানানো হয়নি। বিষয়টি আমরা লিখিত আকারে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আমরা এই যোগদান কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এর ফলে দলের ক্ষতি হবে', বলে তিনি জানিয়েছেন।


এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি জানান, কার নির্দেশে তিনজন নির্দল সদস্যকে দলে যোগদান করানো হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই।যদিও পাল্টা দাবি করেছেন ব্লক সভা নেত্রী প্রতিভা সিংহ। তার দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অফিস থেকে নির্দেশ আসার পরই ওই তিনজন নির্দল সদস্যকে  তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়েছে। আর দিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এই নিয় আরো একবার মালদা জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল।  


আরও পড়ুন,তৃণমূলের ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার হয়ে TMC-র ঝান্ডা ধরবেন তন্ময় ভট্টাচার্য : শুভেন্দু


সম্প্রতি উপনির্বাচনের আগে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ে উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়িতে বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে দলেরই একাংশকে তীব্র আক্রমণ করলেন জেলার SC ST OBC সেলের সভাপতি। দিলেন আগামীদিনে মঞ্চ থেকে টেনে নামানোর হুঁশিয়ারিও। যদিও এ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক। জলপাইগুড়ির  তৃণমূলনেত্রী কৃষ্ণ দাস বলেন, 'লজ্জা লাগে। হারার পর আমি কলকাতায় গেলাম। এক নেতা বলল তোমাদের উত্তরবঙ্গের লোক বেইমান। আমরা বেইমান? সাধারণ মানুষ বেইমান নয়। বেইমান কিছু লোক আমাদের মধ্যে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। উত্তরবঙ্গের লোক সরল সিধে। উত্তরবঙ্গের লোক মানুষকে সম্মান দেয়। নেতা আগে নিজের জায়গায় জিতুক। নিজের বুথ জিতুক। তারপরে ভাষণ দিতে এসো। নিজের অঞ্চল জেত। তারপরে ভাষণ দিতে এস। নিজের বুথে হারা, নিজের অঞ্চলে হারা। তারা নাকি আবার বলে বড় বড় নেতা। কেউ বলে রাজ্যের দায়িত্বে আছে, কেউ বলে কেন্দ্রের দায়িত্বে আছে। কেউ বলে জেলার দায়িত্বে আছে।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।