মালদা: মিড ডে মিল দুর্নীতির (Midday Meal Scam) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রথমবার মালদায় পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বেসরকারি হোটেলে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। দুটি দলে ভাগ হয়ে মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। 


রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।' 'কেন্দ্রের দেওয়া মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য রাজ্যের' বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। আর এবার ধ্রুব সাহার বিতর্কিত মন্তব্যে এরপর প্রতিক্রিয়া দেন শাসকদলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।


জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এই ধ্রুব সাহা ব্যাক্তিটি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড বিশেষভাবে আমরা জানিতো। এসব কথার কোনও অর্থ হয় না, কারণ  প্রমাণ করলে, প্রমাণ করবেন।  কিন্তু ঘটনাটা হচ্ছে, ওনারই গুরু শুভেন্দু অধিকারী, তিনি তো চিঠি লিখে বলেছেন মিড ডে মিল বন্ধ করে দিতে। তিনি আবার মিড মিলের জন্য কুম্ভিরাশ্রু ফেলছেন কেন ? তাঁদের দলের নেতা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাচ্চা যেনও মিড ডে মিল না পায়,.. এটা তো হচ্ছে বিজেপির ঘোষিত নীতি।'মূলত,  কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।


আরও পড়ুন, কীভাবে কারখানায় বিস্ফোরণ ? হুগলিকাণ্ডে ফরেন্সিক দল


প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলেছে আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও।