করুণাময় সিংহ, মালদা: নিকাশি ব্যবস্থার পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে পাঠিয়ে প্রকাশ্যে ধমক দিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান। গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এতদিন ইংরেজবাজার পুরসভা তো তৃণমূলেরই ছিল, তাহলে কেন এই হাল? প্রশ্ন জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।
ছবিটা কেমন?
আবর্জনায় উপচে পড়ছে নিকাশি নালা। একটা-দু’টো নয়, শহরের প্রায় সবকটারই একই অবস্থা। দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন চেয়ারম্যানষ। তখনই এই পরিস্থিতি দেখে কার্যত চটে লাল মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে পাঠিয়ে প্রকাশ্যে দিলেন ধমক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। লেভেল দেখবেন না? আপনার ক্যাপাবিলিটি যদি না হয়...একটা নোট দিলেন না কেন?' শুধু নিকাশি নালাগুলিই নয়, পুরসভার শৌচাগারও তথৈবচ। তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। অল্প বৃষ্টিতেই শহরে জল জমে, বাসিন্দাদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই পরিস্থিতিতে, ইংরেজবাজার শহরে রথবাড়ি সুকান্ত মোড় এলাকায় নিকাশি নালা ও শৌচালয়গুলির পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সব দেখে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দুর্নীতি হলে বরদাস্ত করবেন না তিনি।
চেয়ারম্যানের বার্তা:
তৃণমূল নেতা ও ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা দেখতে যাই। খুব খারাপ অবস্থা। তদন্ত করব। পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমরা ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতিকে বরদাস্ত করব না। নিয়মিত এই ধরনের পরিদর্শন চলবে।' ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশাল মহন্ত বলেন, 'অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। শহর জলমগ্ন হয়ে যায়। চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে স্বাগত। উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।'
বিজেপির কটাক্ষ:
পাল্টা বিজেপির প্রশ্ন, এতদিন ইংরেজবাজার পুরসভার দায়িত্বে তৃণমূলই ছিল, তাহলে কেন এই হাল? বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'এতদিন ওনাদেরই বোর্ড ছিল। তাহলে এই পরিস্থিতি কেন হল? ঘুরিয়ে তিনি ওনার নিজের বোর্ডকেই দোষারোপ করছেন। শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হলে মানুষ উপকৃত হবে।' এবার দ্রুত শহরের হাল ফেরা নিয়ে আশাবাদী বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে ভাঙা হল এটিএম, লুট লক্ষাধিক টাকা