অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: চারদিন আগেই ঘটে গিয়েছে দুঃসাহসিক ডাকাতি (Robbery)। এক নার্সিংহোমের মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে চারদিন আগে। ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনা গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার চারদিন পরই দুষ্কৃতীদের কিনারা করল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harischandrapur) থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা।


ডাকাতির কিনারা করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ-


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ জুন রাতে হরিশ্চন্দ্র থানা এলাকার সুলতাননগরের একটি নার্সিংহোমের মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনা গয়না ডাকাতি হয়। ডাকাতির পর গৃহকর্তা নৈমুদ্দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে, মাদক ব্যবহার করে টাকা ও গয়না হাতিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেতে সাব ইনস্পেক্টর অমর সাহার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী হানা দেয় দুষ্কৃতীদের ডেরায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় ৫জন। 


আরও পড়ুন - Malda : রাত হলেই বাজারে শুরু হয় অসামাজিক কাজ ! পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে চাঁচলের কৃষক বাজার


পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন হাতুড়ে চিকিৎসকও ছিল। আরশাদ আলি নামে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকই মাদক তৈরি করে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়ি কুমেদপুর এলাকায়। বাকি চার দুষ্কৃতী লস্কর আলি, ফজলু রহমান, তারিক ইসলাম, সুলতানা পরভীনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।


হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের কাছে ডাকাতির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে পাঁচ দুষ্কৃতীর খবর আসে। সেই মতোই গোপনে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কিনারা করে পুলিশ।