করুণাময় সিংহ, মালদা : ভরা ভাদরে গঙ্গার পাশাপাশি ফুঁসছে কোশি নদী। এই সময় প্রতি বছরই জল বাড়ে এই নদীর । এবারও তার অন্যথা হয়নি, তবে এতটা জল বাড়ে না সাধারণত। কোশি নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে রতুয়ার বিলাইমারি এবং মহানন্দা টোলা এলাকায়।
হু হু করে ঢুকে পড়ছে জল
কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার জল বাড়তে বাড়তে হু হু করে ঢুকে পড়েছে অপেক্ষাকৃত শীর্ণ কোশিতে। ফলে ফুলে ফেঁপে উঠছে নদী। চরম আতঙ্কে নদীপাড়ের গ্রামগুলির মানুষজন এলাকাবাসীরা জানালেন, প্রতিবছর কোশি ফুলেফেঁপে ওঠে ঠিকই, তবে এই নদী এমন ভয়াল রূপ ধরে না।
রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে কোশি
সারা বছর শীর্ণ এই নদীও রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা । পাড় ভেঙে এগিয়ে চলেছে কোশি। অস্তিত্ব বিপন্ন তীরে থাকা গ্রামগুলির।নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোশি নদীর ধারে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে ভাঙ্গন। বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে সাতটি গ্রাম আশঙ্কা স্থানীয়দের।
ভাঙন আটকানোর চেষ্টা
প্রশাসনের তরফে এখনও এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ আরম্ভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে গাছ, বালির বস্তা ফেলে কোনওক্রমে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছেন। যদিও এইভাবে ভাঙ্গন আটকানো সম্ভব নয় বলে দাবি তাঁদের। কার্যত ভূতনির চড়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে গঙ্গা ও কোশি নদী।
রবিবার বিকেল থেকে কেশোরপুর কালুটনটোলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। তলিয়ে গিয়েছে নদী তীরবর্তী কৃষি জমি, বড় বড় গাছ। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গাগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। ভাঙন রুখতে কী পদক্ষেপ, তা নিয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
পুজোর আগেই ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা গ্রাস করেছে মালদার মানিকচকের গঙ্গা-পাড়ের বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল থেকে ভূতনির চরের কেশোরপুর কালুটনটোলা এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে গঙ্গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেচ দফতরের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায় । কিন্তু ভাঙন-রোধের দায়িত্ব আসলে কার? এই নিয়েই শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা।
আরও পড়ুন :