অভিজিৎ চৌধুরী, রতুয়া: পেশায় তিনি একজন জিআরপি সিভিক। কিন্তু রাতারাতি যে ভাগ্য এভাবে বদলে যাবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। মাত্র ৬০ টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর তাতেই জিতে গেলেন কোটি টাকা। রতুয়ায় (ratua) সিভিক পুলিশের কোটিপতি হওযার ঘটনায় শোরগোল চারিদিকে। দশ সেম টিকিটে প্রথম পুরস্কার পেয়ে ওই সিভিক (civic)। মাল‍দার (malda) রতুয়া-২ নং ব্লকের সিমলা গ্রামের সিভিক সেনাউল এখন কোটিপতির তালিকায় নাম লেখালেন।


গতকাল লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) দক্ষিণ বড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক। তিনি পেশায় দিনমজুর। ভ্যান চালিয়ে মালপত্র বয়ে নিয়ে নামমাত্র টাকা রোজগার করেন। তাতে কোনও রকমে পেট ভরে স্বামী স্ত্রী এবং চার মেয়ের। কিন্তু শাক-পাতা খেয়ে পেট যদিও বা চলে, মেয়ের বিয়ে দেবেন কী করে, সেই চিন্তাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল দীপককে। সংসার ভর্তি লোকজন। অথচ রোজগার নামমাত্র। কিছুতেই সঙ্কুলান হচ্ছিল না। তার মধ্যেও সকলের চোখ বাঁচিয়ে রোজ ছ’টাকা বরাদ্দ রাখতেন নিজের জন্য। ভাগ্যজয়ের সেই নেশাই জীবন পাল্টে দিল ভ্যানচালক দীপক দাসের। লটারি জিতে এখন তিনি কোটিপতি হওয়ার পথে।


দীপকের লটারি (Lottery Winner) জেতার খবর পাড়ার দোকান থেকে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশের কানেও পৌঁছয় সে খবর। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগেই দীপককে নিরাপত্তা দিতে পৌঁছয় তারা। সঙ্গে করে থানায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় কাজ মেটানো হয়। তার পর তাঁকে বাড়িও পৌঁছে দিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকায় দীপক এবং তাঁর পরিবার যেমন খুশি, তেমনই খুশি গ্রামের মানুষও।


এবিপি আনন্দকে দীপক বলেন, “চার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্যই টিকিট কাটতাম। এত দিনে মুখ তুলে চাইলেন ভগবান। এ বার আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”


আরও পড়ুন: শহরে ফের চালু হচ্ছে রাত্রিকালীন বাস, বৃহস্পতিবার থেকেই মিলবে পরিষেবা