অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ফিল্মি কায়দায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteer) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ছিনতাই লক্ষাধিক টাকা । যদিও পুলিশের তৎপরতায় বাংলা-বিহার সীমান্ত থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি মোটর বাইক। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদা জেলার (Malda District) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটা কুশিদা গামী রাজ্য সড়ক কামারতা এলাকায়।


হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেট ব্যাঙ্কের মেন ব্রাঞ্চ থেকে টাকা তুলে নিয়ে চন্ডিপুর কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে নিয়ে যাচ্ছিল ওই সিএসপির মালিক শাহজামাল। মোটর-সাইকেলে করে নগদ ২ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিল সে। তুলসীহাটা থেকে বের হয়ে কামারতায় একটি ইট ভাটার কাছে মন্দিরের সামনে তাকে ঘিরে ধরে আরো দুটি মোটর-সাইকেল। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় টাকার ব্যাগ। পেশায় সিভিক পুলিশ শাহাজামল সাথে সাথে খোঁজ দেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ঘটনার মুহূর্তেই সামনে থাকা মোটর-সাইকেলের নাম্বার দেখে নেয় সে। পুলিশকে ঘটনার বিবরণ দেয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি দেওদূত গজমের খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। আইসির নির্দেশে অভিযুক্তদের ধরতে শুরু হয় পুলিশি অভিযান। চাঁচল থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে গোবিন্দপুর ঘাট নাকা পয়েন্টের কাছে পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন গ্রেফতার হয়েছে এবং আরেক জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।


ধৃতের নাম মনসুর আলম(৩২)। বাড়ি চাঁচল থানার সুরতপুর এলাকায়। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা,মোটর বাইক, দেশি পিস্তল এবং দুই রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর বিহারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে বিহার যোগ রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের এই সাফল্যে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চন্ডিপুর সিএসপির মালিক তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার শাহজামাল বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর মেইন ব্রাঞ্চ থেকে টাকা তুলে নিয়ে সিএসপিতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় দুটি বাইক আমাকে ঘিরে ধরে মাথায় বন্দুক ঠেকায়। প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সাথে সাথে পুলিশকে খবর দিতে এক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত।হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জামালুদ্দিন বলেন,টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাই হয়। পুলিশ খুব তৎপরতার সাথে কাজ করেছে। চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার হয়েছে।


আরও পড়ুন, ' উনি ডেঙ্গি নিয়ে গবেষণা করছেন !', 'মেয়র'-কে খোঁচা অগ্নিমিত্রার


প্রসঙ্গত বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুরে বারবার বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় যোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে অপরাধীরা অপরাধ করে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ যথেষ্ট তৎপর এবং সতর্ক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাংলা-বিহার সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হচ্ছে অপরাধীরা। সঠিক অনুমান এবং তৎপরতায় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের এই নজির বিহীন সাফল্য প্রশংসা কুড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের।