করুণাময় সিংহ, মালদা: প্রেমিকের (lover) সঙ্গে মিলে স্বামীকে (husband) খুনের (murder) অভিযোগ উঠল স্ত্রীর (wife) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা (malda) থানার নুরপুর গ্রামে। অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে যাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র (conspiracy) করেছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি এখনও ফেরার।
কী হয়েছিল?
স্বামী শয্যাশায়ী। অভিযোগ, সেই সুযোগে এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু চোখের সামনে স্ত্রীর সেই সম্পর্ক কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারে নি অসুস্থ স্বামী । তাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অসুস্থ গৃহকর্তা। অভিযোগ, তার জেরেই পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী। তাতে মদত দিয়েছিলেন প্রেমিক, অভিযোগ আরও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরপুর এলাকায়। গোপনে মৃত স্বামীর দেহ শবদাহের জন্য বাড়ি থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেেন অভিযুক্ত ও তাঁর প্রেমিক। কিন্তু বিষয়টি নজরে পড়ে গিয়েছিল স্থানীয় গ্রামবাসীদের। এরপরই এলাকা জুড়ে শুরু হয় শোরগোল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত প্রেমিক এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় নিহতের স্ত্রী। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম হেমন্ত রজক। বয়স চল্লিশ বছর। কয়েক বছর ধরেই তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। এরই মধ্যে হেমন্তের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় জগোর সিংহের সঙ্গে অভিযুক্ত পিঙ্কি রজকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের । জগৎ সিংহের আদত বাড়ি উত্তরপ্রদেশে মোরাদাবাদে। সেখান থেকেই মালদা এসে নিয়মিত ওই গৃহবধূর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতেন জগোর সিং। তাঁদের এই সম্পর্কের বাধা দেন অসুস্থ হেমন্ত রজক। অভিযোগ, তাই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা নেন দুইজন।
কী দাবি অভিযুক্তের?
গ্রেফতারির পর পিঙ্কি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর চার ছেলেমেয়ে। জগোর সিংহ তাঁদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। বেশিরভাগ দিন তাঁদের বাড়িতে এসেই থাকতেন জগোর। পিঙ্কির কথায়,'ও আমার স্বামীকে খুন করার কথা অনেক আগেই বলেছিল। কিন্তু আমি মানা করেছিলাম। তবে আমার চোখের সামনেই শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুন করে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছেলেমেয়ে কেউ ছিল না। আমি মত দিইনি। বরং আমাকে এই ঘটনায় যুক্ত হতে বলেছিল । না হলে আমাকেও খুনের হুমকি দিচ্ছিল।' পলাতক দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।