করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বাঁচোয়া। ভেস্তে গেল সাতসকালে ডাকাতদলের পেট্রোল পাম্প (Petrol pump) থেকে টাকা লুঠের পরিকল্পনা। পুলিশ সূত্রের খবর, পাম্প ম্যানেজারের উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই এই ঘটনা। ঘটনাস্থল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর। পাম্পের সিসিটিভি (cctv) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা ঘটনার ছবি। সেই ফুটেজের সূত্র ধরেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 


কথায় বলে, বুদ্ধি যাঁর বল তাঁর। আর সেই বুদ্ধির জোরেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি রুখলেন পাম্পের ম্যানেজার। শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ, ওই পাম্পে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। 


কী অভিযোগ?
পাম্প কর্মীদের দাবি, ২টি বাইকে ৬ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা ছিল কাপড়ে। দুষ্কৃতীদের ২ জনের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। মোটরবাইক থেকে নেমেই সটান ম্যানেজারের অফিসে ঢোকে ৩ জন। বাকিরা বাইরে পাহারায় ছিল বলে দাবি পাম্প কর্মীদের। ম্যানেজারের অফিসে ঢুকেই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে শাসানি দেয় দুষ্কৃতীরা।  ম্যানেজারকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে। তৎক্ষণাৎ ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে ততক্ষণে লুকিয়ে নিয়েছেন টাকার বাক্সের চাবি। ফলে অফিসের নানা আসবাব ঘাঁটাঘাঁটি করেও টাকা লুঠ করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা পাম্প ম্যানেজারের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার বলেন, 'আমাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল। টেবিলের উপর চাবিটা ছিল। তাড়াতাড়ি সেটা পকেটে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যাই।' পেট্রোল পাম্পের কর্মী রেজাউল করিমের অভিযোগ, 'আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। আমি সরে যাওয়ায় গুলি লাগেনি। ৪ রাউন্ড গুলি করেছে।'


পুলিশের দাবি:
যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে বিহার সীমান্তের দূরত্ব মেরেকেটে ১৫ কিলোমিটার। মালদার পুলিশ সুপারের দাবি, বিহারের দিক দিয়ে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। গুলি চলেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। 


আরও পড়ুন: ব্যবসায়ী আটকে রেখে মারধর-টাকা লুঠ, ধৃত দুই যৌনকর্মী