অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল: চতুর্থীর রাতে মালদার চাঁচলে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচার করল পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ চারজনের কুখ‍্যাত ডাকাত দল। 


গোপন সূত্রের খবর পেয়ে চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে অভিযান পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া, একটি ছুরি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটরবাইক ও তাদের মোবাইল ফোন।


চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে  হরিশ্চন্দ্রপুর, ইটাহার ও চাঁচল থেকে বেশ কিছু দুস্কৃতি ডাকাতির উদ্দ‍েশ্যে জড়ো হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।


গোপন সূত্রের পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


পুলিশ জানিয়েছে ২ ধৃত  হাসিবুল(৪৫),মজিবুর রহমান (২৬) চাঁচল এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে আরও দুই দুষ্কৃতী বাবর আলি(৩৫) হরিশ্চন্দ্রপুরের ও রাজ্জাক আলি(৫৫) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা।


চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানান, ধৃতরা কুখ‍্যাত ডাকাত বলেই পরিচিত। এরা শহরের একটি ব‍্যবসায়ীর দোকানে ডাকাতির ছক কষেছিল বলে খবর ছিল।


গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের পাঁচ দিনের হেফাজত আবেদন চেয়ে রবিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। 


অন্যদিকে, পুজোর মরশুমে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল নিউটাউন এলাকার অন্তর্গত নারানপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার এক। ধৃতের কাছ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশকিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।


গতকাল গভীর রাতে টহলদারি করার সময় নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত দোন্নগর কাছে পুলিশের গাড়ি সামনে চলে আসে একটি ১০৭ গাড়ি। 


গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্য জড়ো হয়েছে। পুলিশ দেখে গাড়ির চালক সহ বাকিরা পালিয়ে যায়। একজনকে ধরে ফেলে নারায়নপুর থানার পুলিশ। 


ধৃতের নাম হাসান লস্কর (২১) দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি ভোজালি, কাস্তে, লোহার রড সহ ডাকাতি করার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। 


আজ বারাকপুর আদালতের তোলা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় নারায়নপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজ চালাবে পুলিশ।