করুণাময় সিংহ, মালদা: কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে রেশনের আটা উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা সুশান্ত চৌধুরী দাদা বিকাশ চৌধুরী। গোটা ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচক থানা এলাকায়।


যুব তৃণমূল নেতা সুশান্ত চৌধুরী এই ঘটনায় যুক্ত, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে কেউ অন্যায় করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইংলিশ বাজার এবং বৈষ্ণব নগরে খাদ্য দফতরের কর্মীদের নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে গিয়েই দুই লরি ভর্তি রেশনের আটা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। 


তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ খবর পায় কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জে একটি গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে রেশনের আটা মজুদ করা আছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রায় ৭ টন আটা। এই ঘটনায় সুশান্ত চৌধুরী দাদা বিকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিস সরকার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


অন্যদিকে, কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সামিজুদ্দিন আহমেদ বলেন, "কেউ বেআইনি কাজে যুক্ত থাকলে দল পাশে দাঁড়াবে না। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।" এদিকে, তৃণমূলের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, মমতা দিদির দুর্নীতিমুক্ত সমাজ তৈরি করার কথা বলছেন কিন্তু এই ধরনের নেতা থাকলে তা কখনোই সম্ভব নয়। এই ঘটনায় ওই যুব তৃণমূল নেতা সুশান্ত সরকার কে ফোন করা হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।


এদিকে, রেশন কার্ডের সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আধার নম্বর লিঙ্ক করা। তবে, তার জন্য যেতে হবে না নিজের জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও প্রান্ত থেকেই এই কাজ করাতে পারবেন গ্রাহক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকানা যাই থাকুক না কেন, গ্রাহক যে কোনও জায়গা থেকেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করাতে পারবেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১০ কোটি ৩২ লক্ষ রেশন গ্রাহক রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করিয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লক্ষ জন।