করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের অঘটন। তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, এখানে রাজনৈতিক ইস্যু জড়িয়ে না থাকলেও, ক্রমবর্ধমান অপরাধ (Crime) নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠল নাগরিক নিরাপত্তায়। যেখানে সেখানে দিনেদুপুরে, এমনকি প্রশাসনিক এলাকার অদূরেও সম্প্রতি ভুরিভুরি শ্যুটআউটের উদাহরণ উঠে এসেছে। আর এবার ফের চলল গুলি মালদায়(Malda Shootout Case)। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 


জানা গিয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার ভবানীপুর গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মিল্কি ফাঁড়ির পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছাব্বিশের ওই গুলিবিদ্ধর নাম মির্জা আকবর।বাড়ি ভবানীপুর এলাকায়।


প্রসঙ্গত, এখনও বজবজ শ্যুটআউটের স্মৃতি তাজা। ভরদুপুরে, আশপাশে খোলা দোকানপাট। রাস্তায় চলছে গাড়িঘোড়া। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা চলতি মাসের শুরুতেই সবাইকে অবাক করেছিল। হাড়হিম করে দেওয়া এই দৃশ্য যদিও উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের নয়। এই ছবি খোদ এই বাংলার। তাও একেবারে কলকাতা লাগোয়া বজবজে। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে যে এলাকার দূরত্ব মাত্র সাড়ে ১৪ কিলোমিটার। আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এক অভিযুক্ত।                                        


যে দৃশ্য দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে উমেশ পালকে হত্য়ার মুহূর্তের সই ভয়ঙ্কর ছবি। প্রকাশ্য় রাস্তায় খুন। বজবজের ছবি যেন হুবহু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রাণহানি হয়নি। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আলতাব উদ্দিন।পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০০ সালের একটি খুনের ঘটনায়, আলিপুর আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন এই মামলায় অভিযুক্ত আলতাব। সেখান থেকে ফেরার পথে বজবজ স্টেশন থেকে, আরেকজনের মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। স্টেশন থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে, মহত্মা গাঁধী রোডের উপর কয়লাসড়কে, তাঁদের বাইকের পাশেই চলে আসে আরেকটি বাইক। এরপরই পিছনে বসে থাকা আলতাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অন্য বাইকে বসে থাকা দুষ্কৃতী।           


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


কিন্তু কেন এই হামলা? স্থানীয় সূত্রে খবর, আলতাব ও শোবরাজ, দুজনেরই বাড়ি নোদাখালি থানা এলাকায়।মাটি কাটার সিন্ডিকেট নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। একদিকে ডাকাতির ঘটনায় ১০ বছর জেল খেটেছেন আলতাব। অন্যদিকে গাঁজাকেসে একসময় জেলে ছিলেন শোবরাজও। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই সময় জেলের মধ্যেই তাঁরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে, আলতাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন শোবরাজ। কিন্তু, সেবার গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।এবার ফের একইভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছিল সেই শোবরাজের বিরুদ্ধেই।