করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় (Malda) দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত লরিচালক-সহ ২। দু’জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। টাকা লুঠের চেষ্টা ব্যর্থ। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশা থেকে কোচবিহারে (Coochbehar) মাছ সরবরাহ করে ফিরছিলেন দুই ব্যক্তি। অভিযোগ, মালদা থানার (Malda Police Station) বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ইট মেরে লরি থামায় মুখে কাপড় বাঁধা ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। টাকা লুঠে বাধা দেওয়ায় চালক ও তাঁর সঙ্গীকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি। দুষ্কৃতীরা অধরা। 


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিন ওড়িশা থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে গিয়েছিল কোচবিহারে। মাছ খালি করে বাড়ি ফিরছিলেন দুজনে গাড়িতে করে। ফেরার পথে শনিবার গভীর রাতে মালদা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় প্রথমে তাঁদের গাড়িতে ইট ছোড়ে। ভয়ে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। এরপর মুখ ঢাকা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা এসে গাড়ি চালকের কাছে টাকা ছিনতাই চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। কোনওক্রমে সাবির আলি সেখান থেকে পালিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে চিৎকার শুরু করে। এরপর দুষ্কৃতীরা এজাজুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাঁদের কাছ থেকে কোনওরকম টাকা পয়সা ছিনতাই করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।


আহত গাড়িচালক সাবির আলি জানান, “চার পাঁচ জন গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে ইট পাথর ছুড়ে তারপরে মারধর শুরু করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে আমরা দুজনকে।’’ তাঁদের হাতে ধারালো অস্ত্র সহ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এমনটা জানাচ্ছেন গাড়িচালক। আক্রান্তরা জানাচ্ছেন, “এরপর আমরা ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসি। বর্তমানে দুজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি মালদা মেডিক্যালে।’’ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মালদা থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু পুলিশ।


মালদার চাঁচলে গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। বাড়ির কাছ থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার। স্বামীকে আটক করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। মৃতের নাম রুকসানা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, চারবছর আগে রাজা শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় রুকসানার। মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। আজ সকালে বাড়ির কাছেই রুকসানার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে চাঁচল থানার পুলিশ।